যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থিত একটি বিতর্কিত সংস্থার পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এ সময় দখলদার বাহিনীর গুলিতে ত্রাণ নিতে যাওয়া ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজায় মার্কিন-সমর্থিত একটি সংস্থার ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বাহিনী গুলি চালায়। এতে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত এবং ১২০ জন আহত হন।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রস্তাবের জবাব দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গোষ্ঠীটি বলেছে, ‘আমরা গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চাই। যুদ্ধবিরতির জন্য গাজা থেকে সব ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।’
শনিবার (৩১ মে) হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, চুক্তিতে উল্লিখিত নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে তারা ১০ জন জীবিত ইসরাইলি জিম্মি এবং ১৮ জন মৃত জিম্মির মৃতদেহ হস্তান্তরে প্রস্তুত।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই প্রস্তাবের লক্ষ্য স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে সব ইসরাইল সেনা প্রত্যাহার এবং আমাদের জনগণের জন্য মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা।’
বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সরাসরি কোনো সংশোধনীর কথা বলা হয়নি। তবে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানান, হামাস প্রস্তাবে কিছু সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে। তা সত্ত্বেও সামগ্রিকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক।
হোয়াইট হাউসও জানিয়েছে, প্রস্তাবিত খসড়া সম্পর্কে হামাস তাদের আপত্তিও তুলে ধরেছে। বিস্তারিত প্রতিক্রিয়ায় হামাস তাদের সুপরিচিত শর্তগুলো পুনরাবৃত্তি করেছে: একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে সম্পূর্ণ ইসরাইলি প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তার অব্যাহত প্রবাহের নিশ্চয়তা।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলি ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এদিন তারা ১২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলের হামলায় অন্তত ৫৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরএস