ভূগোল ও ভূরাজনীতির মাপকাঠিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশগুলোর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। আয়তনের দিক থেকে এই রাষ্ট্রগুলো শুধু বড়ই নয়, তাদের অনেকেই সামরিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক ক্ষমতার দিক থেকে বিশ্ব পরাশক্তির তালিকায় অবস্থান করছে। জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক সম্পদ, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ এই দেশগুলোর বৈশ্বিক প্রভাব প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি করছে।
চলুন এক নজরে জেনে নিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি দেশের সামগ্রিক শক্তি, বিশেষত্ব ও আন্তর্জাতিক প্রভাব—
১. রাশিয়া (Russia)
সরকারিভাবে রুশ ফেডারেশন নামে পরিচিত যেটা পূর্ব ইউরোপে এবং উত্তর এশিয়ায় অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। এই দেশটি অর্ধ প্রেসিডেনসিয়াল ফেডারেল প্রজাতন্ত্র যার সংবিধান ৮৩ টি ফেডারেল বিষয় দ্বারা গঠিত। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর দেশটি পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। দেশটির মোট আয়তন ১৭,০৭৫,৪০০ বর্গকিলোমিটার (৬,৫৯২,৮০০ বর্গমাইল)। রাশিয়া বিশ্বের নবম জনবহুল দেশ যেখানে ২০১২ হিসাব অনুযায়ী ১৪৩ মিলিয়ন লোক বসবাস করে। একই সাথে ইউরেশিয়ার একটি দেশ রাশিয়া। এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং বিশ্বের পারমাণবিক শক্তিধর শীর্ষ পাঁচটি দেশের অন্যতম।
রাজনীতি: রাশিয়া একটি আধা-রাষ্ট্রপতি শাসিত দেশ যেখানে প্রেসিডেন্ট সর্বোচ্চ ক্ষমতার মালিক। তিনিই প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
সামরিক খাত: রাশিয়ার কাছে আনুমানিক ৫,৯৭৭ টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ১,৭০০ টি কৌশলগত পারমাণবিক ওয়ারহেড মোতায়েন করা আছে, যা বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র, সাবমেরিন ও বিমানের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ বা ছোড়ার যোগ্য।
এখানে আরও কিছু বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
পারমাণবিক অস্ত্র: রাশিয়ার কাছে প্রায় ৫,৯৭৭ টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
কৌশলগত ওয়ারহেড: এর মধ্যে প্রায় ১,৭০০ টি কৌশলগত পারমাণবিক ওয়ারহেড মোতায়েন করা আছে।
উৎক্ষেপণ পদ্ধতি: এই ওয়ারহেডগুলো বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র, সাবমেরিন ও বিমানের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ বা ছোড়ার যোগ্য।
অস্ত্রের ধরন: রাশিয়ার কাছে স্থলভিত্তিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, এবং ভারী বোমারু বিমানের মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্র বহনের ক্ষমতা রয়েছে.
প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ: রাশিয়া ৮টি ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট এ বিভক্ত।
শক্তি: পরমাণু শক্তিধর, বিশাল সামরিক বাহিনী, UN নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য।
বিশেষত্ব: ইউরোপ ও এশিয়া জুড়ে বিস্তৃত, বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
২. কানাডা (Canada)
কানাডা উত্তর আমেরিকার উত্তরাংশে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। এর দশটি প্রদেশ ও তিনটি অঞ্চল আটলান্টিক মহাসাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগর এবং উত্তরে আর্কটিক মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র।
কানাডার অধিকৃত ভূমি প্রথম বসবাসের জন্য চেষ্টা চালায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীসমূহ। পঞ্চদশ শতকের শুরুতে ইংরেজ এবং ফরাসি অভিযাত্রীরা আটলান্টিক উপকূল আবিষ্কার করে এবং পরে বসতি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। ফ্রান্স দীর্ঘ সাত বছরের যুদ্ধে পরাজয়ের ফলস্বরূপ ১৭৬৩ সালে উত্তর আমেরিকায় তাদের সব উপনিবেশ ব্রিটিশদের কাছে ছেড়ে দেয়। ১৮৬৭ সালে, মিত্রতার মধ্য দিয়ে চারটি স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ নিয়ে দেশ হিসেবে কানাডা গঠন করা হয়। এর ফলে আরো প্রদেশ এবং অঞ্চল সংযোজনের পথ সুগম,এবং ইংল্যান্ড থেকে স্বায়ত্তশাসন পাওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। ১৯৮২ সালে জারীকৃত কানাডা অ্যাক্ট অনুসারে, দশটি প্রদেশ এবং তিনটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত কানাডা সংসদীয় গণতন্ত্র এবং আইনগত রাজ্যতন্ত্র উভয়ই মেনে চলে। রাষ্ট্রের প্রধান রাজা তৃতীয় চার্লস ও রাষ্ট্রের সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী এবং কানাডার সরকারি ভাষা ইংরেজি ও ফরাসি।
আয়তন: ৯,৯৮,৪৬,৬৭০ বর্গকিলোমিটার
জনসংখ্যা: ৩,৮৪,৩৬,৪৪৭
শক্তি: উন্নত অর্থনীতি, শান্তিপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি, NATO সদস্য।
বিশেষত্ব: প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, খনিজ ও জ্বালানির বড় উৎস।
সামরিক খাত: কানাডা কতগুলো অস্ত্র আছে, এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া কঠিন। কারণ, কোনো দেশের অস্ত্রশস্ত্রের সঠিক সংখ্যা সাধারণত গোপন রাখা হয়। তবে, কানাডার সশস্ত্র বাহিনীর কাছে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে, যেমন - রাইফেল, মেশিনগান, সামরিক যান, বিমান এবং নৌযান।
এছাড়াও, কানাডা বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্রশস্ত্র আমদানি করে এবং কিছু দেশকেও অস্ত্র সরবরাহ করে।
কানাডার সশস্ত্র বাহিনীতে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রের উদাহরণ:
C7A2 স্বয়ংক্রিয় রাইফেল: এটি একটি হালকা ওজনের এবং এয়ার-কুলড গ্যাস-চালিত রাইফেল, যা ম্যাগাজিন দিয়ে খাবার দেওয়া হয়।
মেশিনগান: কানাডার সশস্ত্র বাহিনী বিভিন্ন ধরনের মেশিনগান ব্যবহার করে, যেমন - এম২42 মেশিনগান।
সামরিক যান: কানাডার সশস্ত্র বাহিনীতে বিভিন্ন ধরনের সামরিক যান রয়েছে, যেমন - সামরিক ট্রাক, সাঁজোয়া যান এবং বিভিন্ন ধরনের সামরিক ভ্যান।
বিমান: কানাডার বিমান বাহিনীতে বিভিন্ন ধরনের সামরিক বিমান রয়েছে, যেমন - সিএফ-১৮৮, সিআরজে৯০০ এবং সি-১৩০জে।
নৌযান: কানাডার নৌবাহিনীতে বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ জাহাজ এবং জলযান রয়েছে, যেমন - হেলিফ্যাক্স-শ্রেণী ফ্রেগ্যাট এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক জাহাজ।
কানাডা বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র আমদানি করে এবং কিছু দেশকেও অস্ত্র সরবরাহ করে। উদাহরণস্বরূপ, ইসরায়েল কানাডা থেকে অস্ত্রশস্ত্র গ্রহণ করে।
কানাডার সামরিক বাজেট এবং অস্ত্রশস্ত্রের পরিমাণ বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে।
৩. চীন (China)
চীন সাংবিধানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী চীন বা সংক্ষেপে গণচীন, পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। ১৪২ কোটি জনসংখ্যার দেশটি ভারতের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ জনবহুল রাষ্ট্র। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি দেশটি শাসন করে। বেইজিং শহর দেশটির রাজধানী। গণচীনের শাসনের আওতায় পড়েছে ২২টি ও ১টি অধীন প্রদেশ (যার মধ্যে তাইওয়ান প্রদেশ অন্তর্ভুক্ত, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন তাইওয়ানকে প্রদেশ হিসেবে দাবী করলেও এটিকে নিয়ন্ত্রণ করে না।
পাঁচটি স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল, চারটি কেন্দ্রশাসিত পৌরসভা (বেইজিং, থিয়েনচিন, সাংহাই এবং ছুংছিং), এবং দুইটি প্রায়-স্বায়ত্বশাসিত বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল (হংকং এবং মাকাউ)।
এছাড়াও চীন তাইওয়ানের ওপরে সার্বভৌমত্ব দাবী করে আসছে। দেশটির প্রধান প্রধান নগর অঞ্চলের মধ্যে সাংহাই, কুয়াংচৌ, বেইজিং, ছোংছিং, শেনচেন, থিয়েনচিন ও হংকং উল্লেখযোগ্য। চীন বিশ্বের একটি বৃহৎ শক্তি এবং এশিয়ার মহাদেশের একটি প্রধান আঞ্চলিক শক্তি।
চীনের আয়তন প্রায় ৯৬ লক্ষ বর্গকিলোমিটার। স্থলভূমির আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের ৩য়/৪র্থ বৃহত্তম রাষ্ট্র। সামগ্রিক আয়তনের বিচারে ও পরিমাপের পদ্ধতিভেদে এটি বিশ্বের তৃতীয় বা চতুর্থ বৃহত্তম এলাকা।চীনের ভূমিরূপ বিশাল ও বৈচিত্র্যময়।
সামরিক খাত: চীনের কাছে প্রায় ৬০০ টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে। এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ।
এছাড়াও, চীনের সামরিক শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে, যেমন:
পারমাণবিক অস্ত্র: বুয়েলিটিন অফ দ্য অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টস এবং ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টস এর মতে, ২০২৫ সালে চীনের প্রায় ৬০০ টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী অস্ত্র: চীনের সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ, এবং মিসাইল রয়েছে, যা তাদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
হাইপারসনিক মিসাইল: চীন শব্দের পাঁচগুণ গতিতে (হাইপারসনিক স্পিড) গুলি ছুড়তে পারে এমন যুদ্ধজাহাজে স্থাপন করার উপযোগী মিসাইল তৈরি করেছে, যা BBC এর মতে, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের চিন্তার কারণ হতে পারে।
এই অস্ত্রশস্ত্রের পাশাপাশি, চীন তাদের সামরিক প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন ক্ষমতাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে।
আয়তন: ৯,৫৯,৬৯,৬১০ বর্গকিলোমিটার
জনসংখ্যা: প্রায় ১৪০ কোটি (বিশ্বে সর্বাধিক)
শক্তি: অর্থনৈতিক ও সামরিক সুপার পাওয়ার, পরমাণু শক্তিধর।
বিশেষত্ব: উৎপাদনশীলতার দিক থেকে বিশ্বের এক নম্বর দেশ।
৪. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা) উত্তর আমেরিকা মহাদেশে অবস্থিত পঞ্চাশটি অঙ্গরাজ্য, একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় জেলা ও পাঁচটি অঞ্চল এবং কিছু ক্ষুদ্র বহিঃস্থ দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র।
এই দেশটি "আমেরিকা" নামেও পরিচিত। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের মধ্যভাগে অবস্থিত আটচল্লিশটি অঙ্গরাজ্য ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি অঞ্চলসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডটি পশ্চিমে প্রশান্ত ও পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরদ্বয়ের মধ্যস্থলে অবস্থিত; এই অঞ্চলের উত্তরে কানাডা ও দক্ষিণে মেক্সিকো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যটি উত্তর আমেরিকা মহাদেশের উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত; আলাস্কার পূর্ব সীমান্তে কানাডা ও পশ্চিমে বেরিং প্রণালী পেরিয়ে রাশিয়া অবস্থিত। হাওয়াই অঙ্গরাজ্যটি মধ্য-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত একটি দ্বীপপুঞ্জ। এছাড়াও ক্যারিবীয় সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে পাঁচটি টেরিটরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধীন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আয়তন প্রায় ৯৮.৩ লক্ষ বর্গকিলোমিটার (৩৭.৯ লক্ষ বর্গমাইল)। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৩২ কোটি ৮২ লক্ষ। সামগ্রিক আয়তনের হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের তৃতীয় অথবা চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্র। আবার স্থলভূমির আয়তন ও জনসংখ্যার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বৈচিত্র্যমণ্ডিত বহুজাতিক সমাজব্যবস্থা।
সামরিক খাত: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কতগুলো অস্ত্র আছে তার সঠিক হিসাব পাওয়া কঠিন, কারণ এর কিছু তথ্য গোপন রাখা হয়। তবে, গবেষণা সংস্থা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি তাদের হিসাব প্রকাশ করে। এদের হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে প্রায় ৫ হাজার ৮৮৯টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, যা ক্ষেপণাস্ত্র, সাবমেরিন এবং বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য.
এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিপুল সংখ্যক প্রচলিত অস্ত্রের মজুত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (ICBM)
ক্রুজ মিসাইল
বিভিন্ন ধরনের বিমান (যেমন: F-35, B-1L bomber)
সামরিক সরঞ্জাম (যেমন: আর্টিলারি, সাঁজোয়া যান).
পারমাণবিক অস্ত্রের হিসাব বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার মধ্যে সামান্য ভিন্ন হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ৫,২৪৪টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে, যেখানে BBC ৫,৮০০টি উল্লেখ করেছে. এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নাগরিকদের হাতেও বিপুল সংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে, যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি.
আয়তন: ৯,৫২,৮৯,৪১০ বর্গকিলোমিটার
জনসংখ্যা: প্রায় ৩২ কোটি ৮২ লক্ষ
শক্তি: বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক ও অর্থনৈতিক পরাশক্তি, UN নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য।
বিশেষত্ব: প্রযুক্তি, শিক্ষা, গবেষণা ও সংস্কৃতিতে অগ্রগামী।
৫. ব্রাজিল (Brazil)
সংযুক্ত প্রজাতন্ত্রী ব্রাজিল যা প্রচলিতভাবে ব্রাজিল নামে পরিচিত। ব্রাজিল হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র। এছাড়াও জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। ৮,৫১৪,৮৭৭ বর্গকিলোমিটার (৫,২৯০,৮৯৯ বর্গমাইল) আয়তনের এই দেশটিতে বসবাসকৃত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২২ কোটি। এটি আমেরিকার একমাত্র পর্তুগিজভাষী দেশ, এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ পর্তুগিজভাষী রাষ্ট্র।
ব্রাজিলে বিভিন্ন জাতের লোকের বাস। আদিবাসী আমেরিকান, পর্তুগিজ বসতিস্থাপক এবং আফ্রিকান দাসদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক ব্রাজিলের জাতিসত্তাকে দিয়েছে বহুমুখী রূপ। ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র পর্তুগিজ উপনিবেশ। ১৬শ শতকে পর্তুগিজদের আগমনের আগে বহু আদিবাসী আমেরিকান দেশটির সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। ১৬শ শতকের মধ্যভাগে পর্তুগিজেরা কৃষিকাজের জন্য আফ্রিকা থেকে দাস নিয়ে আসা শুরু করে।এই তিন জাতির লোকেদের মিশ্রণ ব্রাজিলের সংস্কৃতি, বিশেষ করে এর স্থাপত্য ও সঙ্গীতে এমন এক ধরনের স্বাতন্ত্র্য এনেছে কেবল ব্রাজিলেই যার দেখা মেলে।
১৯শ শতকের শেষ দিকে ও ২০শ শতকের গোড়ার দিকে ব্রাজিলে আগমনকারী অন্যান্য ইতালীয়, জার্মান, স্পেনীয়, আরব, ও জাপানি অভিবাসীরাও ব্রাজিলের সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছে। মিশ্র সংস্কৃতির দেশ হলেও কিছু কিছু আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ব্রাজিলীয়, ইউরোপ ও এশিয়া থেকে আগত অ-পর্তুগিজ অভিবাসী, এবং আদিবাসী আমেরিকানদের অংশবিশেষ এখনও তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও রীতিনীতি ধরে রেখেছে। তবে পর্তুগিজ সংস্কৃতির প্রভাবই সবচেয়ে বেশি। পর্তুগিজ এখানকার প্রধান ভাষা এবং রোমান ক্যাথলিক প্রধান ধর্ম।
আয়তন: ৮,৫১৪,৮৭৭ বর্গকিলোমিটার
জনসংখ্যা: প্রায় ২২ কোটি
শক্তি: দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম অর্থনীতি, কৃষি ও খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ।
বিশেষত্ব: অ্যামাজন বনের কারণে পরিবেশগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশ।
৬. অস্ট্রেলিয়া (Australia)
অস্ট্রেলিয়া বা কমনওয়েলথ অফ অস্ট্রেলিয়া হলো ওশেনিয়া মহাদেশের একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। ওশেনিয়া মহাদেশের মূল ভূখণ্ড ও তাসমানিয়াসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গঠিত হয়েছে। দেশটির মোট আয়তন ৭,৬৮৮,২৮৭ বর্গ কি.মি. (২,৯৯৬৮, ৪৬৪ ব.মা)।
আয়তনের দিক থেকে এটি ওশেনিয়ার সর্ব বৃহৎ রাষ্ট্র ও পৃথিবীর ৬ষ্ঠ বৃহত্তম রাষ্ট্র। দেশটির উত্তরে তিমুর সাগর, আরাফুরা সাগর, ও টরেস প্রণালী; পূর্বে প্রবাল সাগর ও তাসমান সাগর; দক্ষিণে ব্যাস প্রণালী এবং পশ্চিমে ভারত মহাসাগর। বৃহৎ আকৃতির কারণে অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু বেশ বিচিত্র এবং এর মধ্যবর্তী অঞ্চলে রয়েছে বৃহৎ মরুভূমি, উত্তর-পূর্বে বনাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমে পর্বতমালা রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া একটি উন্নত দেশ এবং উচ্চ আয়ের অর্থনীতি। এটি পৃথিবীর ১২তম বৃহত্তম অর্থনীতি, মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে দশম এবং মানব উন্নয়ন সূচকের মান অনুযায়ী অষ্টম। প্রাকৃতিক সম্পদ এবং উন্নত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য দেশটির অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ার আয়ের প্রধান খাতসমূহ হলো পরিষেবা, খনিজ রপ্তানি, ব্যাংকিং, উত্পাদন, কৃষি এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও অন্যান্য।
আয়তন: ৭,৬৮,৬৮,০০০ বর্গকিলোমিটার
জনসংখ্যা: প্রায় ২.৭১ কোটি
শক্তি: উন্নত রাষ্ট্র, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক ও কূটনৈতিক প্রভাবশালী।
বিশেষত্ব: খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ ও পর্যটন শিল্পে উন্নত।
৭. ভারত (India):
ভারত যার সরকারি নাম ভারতীয় প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। অন্যদিকে, জনসংখ্যার বিচারে এটি বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল রাষ্ট্র এবং পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান উত্তর-পূর্বে চীন, নেপাল ও ভুটান এবং পূর্বে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার অবস্থিত।
এছাড়া, ভারত মহাসাগরে অবস্থিত শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া হল ভারতের নিকটবর্তী কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্র। দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পশ্চিমে আরব সাগর ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত ভারতের উপকূলরেখার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)।
বর্তমানে ভারত ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বিশিষ্ট একটি সংসদীয় সাধারণতন্ত্র। ভারতীয় অর্থব্যবস্থা বাজারি বিনিময় হারের বিচারে বিশ্বে দ্বাদশ ও ক্রয়ক্ষমতা সমতার বিচারে বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম। ১৯৯১ সালে ভারত সরকার কর্তৃক গৃহীত আর্থিক সংস্কার নীতির ফলশ্রুতিতে আজ আর্থিক বৃদ্ধিহারের বিচারে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থাগুলির মধ্যে দ্বিতীয়।
সামরিক খাত: ভারতের সামরিক খাতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র, যুদ্ধ বিমান, যুদ্ধ ট্যাঙ্ক, কামান, ক্ষেপণাস্ত্র, ইত্যাদি। বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্য অনুসারে, ভারতের প্রায় ৯০ থেকে ১৮০ টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।
এছাড়াও, ভারতের কাছে রয়েছে:
যুদ্ধ বিমান: প্রায় ৭৩০ টি।
যুদ্ধ ট্যাঙ্ক: প্রায় ৩,৭৪০ টি।
কামান: প্রায় ৯,৭৪৩ টি।
ক্ষেপণাস্ত্র: বিভিন্ন প্রকারের, যেমন- ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র।
সশস্ত্র বাহিনী: প্রায় ১৪ লক্ষ।
মোট সামগ্রিকভাবে, ভারত একটি শক্তিশালী সামরিক শক্তি এবং বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্রের অধিকারী।
আয়তন: ৩২,৮৭,২৬৩ বর্গকিলোমিটার।
জনসংখ্যা: প্রায় ১৪১ কোটি (চীনের সমান বা কিছুটা বেশি)
শক্তি: পরমাণু শক্তিধর, দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি।
বিশেষত্ব: প্রযুক্তি, সফটওয়্যার ও সেবা খাতে অগ্রগামী।
৮. আর্জেন্টিনা (Argentina)
আর্জেন্টিনা (ইংরেজি: Argentina) দক্ষিণ আমেরিকার একটি রাষ্ট্র। বুয়েনোস আইরেস দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী। দেশটি দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ অংশের প্রায় পুরোটা জুড়ে অবস্থিত। আয়তনের দিক থেকে এটি দক্ষিণ আমেরিকার ২য় বৃহত্তম এবং বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম রাষ্ট্র।
২০১০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ীে মোট জনসংখ্যা ৪০,১১৭,০৯৬ জন, যা ২০০১ সাল থেকে ৩৬,২৬০,১৩০ জন বেশি। মোট জনসংখ্যায় আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকায় তৃতীয়, ল্যাটিন আমেরিকায় চতুর্থ এবং বিশ্বব্যাপী ৩৩তম। আয়তন: ২,৭৮,০৪,০০০ বর্গকিলোমিটার
জনসংখ্যা: প্রায় ৪.৬ কোটি
শক্তি: দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম প্রধান কৃষিনির্ভর দেশ।
বিশেষত্ব: খাদ্যশস্য ও মাংস রপ্তানিতে বিশ্বে অগ্রগণ্য।
৯. কাজাখস্তান (Kazakhstan)
কাজাখস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে কাজাখস্তান প্রজাতন্ত্র নামে পরিচিত দেশটি মধ্য এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র। আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশও এটি। এর উত্তরে রাশিয়া, পূর্বে চীন, দক্ষিণে কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, ও তুর্কমেনিস্তান এবং পশ্চিমে ক্যাস্পিয়ান সাগর ও রাশিয়া। কাজাখস্তান প্রায় সম্পূর্ণভাবে এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত। তবে দেশটির কিয়দংশ উরাল নদীর পশ্চিমে ইউরোপ মহাদেশে পড়েছে। দেশের উত্তর অংশে অবস্থিত আস্তানা (পূর্বের নাম) বা নুর-সুলতান (বর্তমান নাম) শহর দেশটির রাজধানী।
কাজাখ ভাষা কাজাখস্তানের সরকারি ভাষা। কাজাখ নামের তুর্কী জাতি এখানকার প্রধান জনগোষ্ঠী। ১৮৭০-১৮৭৬ সালের মধ্যে রাশিয়া কাজাখ দখল নেয়। ১৯২২ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত কাজাকিস্তান সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। ১৯৯১ সালে এটি স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর থেকে এখনও দেশটিতে রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা বিদ্যমান। ১৯৯৫ সালে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হয়, যাতে রাষ্ট্রপতিকে একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়া হয়।
আয়তন: ২,৭১,৭৩,০০০ বর্গকিলোমিটার
জনসংখ্যা: প্রায় ১.৯ কোটি
শক্তি: তেল, গ্যাস ও ইউরেনিয়াম সম্পদে সমৃদ্ধ, মধ্য এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র।
বিশেষত্ব: প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ, ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
১০. আলজেরিয়া (Algeria)
আলজেরিয়া উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকায় ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। এর পূর্ণ সরকারি নাম আলজেরিয়া গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্র। দেশটির আয়তন প্রায় ২৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৪১ বর্গকিলোমিটার।
আয়তনের বিচারে আলজেরিয়া আফ্রিকা মহাদেশের বৃহত্তম ও বিশ্বের ১০ম বৃহত্তম রাষ্ট্র। আলজেরিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ; জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৬ জন। আলজেরিয়ার আরবি নাম আলজাজাইর (অর্থাৎ দ্বীপসমূহ); নামটি রাজধানীর তীর সংলগ্ন দ্বীপগুলিকে নির্দেশ করছে। ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত আলজিয়ার্স দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী; এছাড়া ওরান, কন্সটান্টিন ও আন্নাবা কিছু গুরুত্বপূর্ণ নগরী। ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা ও ধর্মের কারণে আলজেরিয়াকে আরব বিশ্বের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়।
আলজেরিয়ার উত্তর-পূর্ব সীমান্তে তিউনিসিয়া, পূর্বে লিবিয়া। পশ্চিমে মরক্কো ও পশ্চিম সাহারা প্রজাতন্ত্র, এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে মালি ও মোরিতানিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্বে নাইজার অবস্থিত। আলজেরিয়ার নাগরিকদেরকে আলজেরীয় বলা হয়।
আয়তন: ২,৩৮,১৭,৭৪১ বর্গকিলোমিটার
জনসংখ্যা: প্রায় ৪.৫ কোটি
শক্তি: আফ্রিকার বৃহত্তম দেশ, প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষত্ব: সাহারা মরুভূমির বড় অংশ জুড়ে বিস্তৃত
বিশ্লেষণ: এই দেশগুলো শুধুমাত্র আয়তনের দিক থেকে নয়, ভূরাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের প্রভাব বিশ্ব রাজনীতির রূপরেখা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বিশ্বের বৃহত্তম দেশগুলোই সবসময় সবচেয়ে ক্ষমতাধর নয়, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আয়তনের সঙ্গে জনসংখ্যা, সম্পদ, সামরিক শক্তি ও কূটনৈতিক প্রভাব মিলে একটি দেশকে পরাশক্তিতে রূপ দেয়। এই দেশগুলোর ক্রিয়াকলাপ আন্তর্জাতিক ভারসাম্য ও ভবিষ্যতের গতি-প্রকৃতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ।
আরএস