এবার দিনের আলোয় ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ। ছবি : সংগৃহীত

ইরান থেকে আরও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে শনাক্ত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র ঢেউ ইসরায়েলের শহরগুলোতে পৌঁছানোর আগেই বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছে তারা। রোববার (১৫ জুন) বিকেলে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর দেশজুড়ে নাগরিকদের বিভিন্ন আশ্রয়স্থলের কাছাকাছি থাকতে বলেছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী। খবর সিএনএন।

খবরে বলা হয়, ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরানের হুমকি প্রতিরোধে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে। তেলআবিব শহরে সাইরেন বাজানো হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানায়, হোম ফ্রন্ট কমান্ড এখন দেশের সব বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানের কাছাকাছি থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। জনসমাগম এড়াতে এবং বাইরে চলাচল যতটা সম্ভব কমাতে বলা হয়েছে।

এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও নিশ্চিত করেছে, ইসরায়েলের দিকে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। এবারই প্রথম দিনের আলোয় হামলা শুরু করেছে ইরান। পরবর্তী হামলাগুলো আরও কঠিন এবং বড় পরিসরে চালানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসলামিক রিপাবলিকের সামরিক মুখপাত্র।

গত দুই দিনে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত এবং ৮০০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানি গণমাধ্যম। নিহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জন শিশু রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানের পাল্টা আক্রমণে ১০ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার রাতে ইরান প্রায় ৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যার মধ্যে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র হাইফার তেল শোধনাগারে আঘাত হেনেছে। এই হামলায় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরাও অংশ নিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

আরাঘচি বলেন, জায়োনিস্ট শাসকগোষ্ঠী আন্তর্জাতিক আইনের একটি নতুন রক্তরেখা অতিক্রম করেছে- তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েল এখন ইরানের ইসফাহান প্রদেশের একটি প্রতিরক্ষা স্থাপনা এবং শিরাজের একটি ইলেকট্রনিক্স কারখানা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের সাধারণ জনগণকে অস্ত্র উৎপাদন কারখানা ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনার আশপাশের এলাকা থেকে সরে যেতে বলেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েলের হামলার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কোনো রকম হামলা চালায়, তবে তার ফল হবে ভয়াবহ।

পরিস্থিতির উত্তপ্ততা বিবেচনায় রেখে দুই দেশই আকাশসীমা আংশিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ চলাচলেও প্রভাব পড়ছে।

আরএস