ইরানে হামলার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তায় গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে ইসরায়েল। পাশাপাশি বিশ্বকে ‘পারমাণবিক মহাবিপর্যয়ের’ দিকেও ঠেলে দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এই ইহুদি রাষ্ট্র।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রকল্পে ইসরায়েলের চলমান ব্যাপক হামলা আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিকোন থেকে অবৈধ। এতে একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অগ্রহণযোগ্য হুমকি তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে বিশ্বকে পারমাণবিক মহাবিপর্যয়ের দিকেও ঠেলে দিচ্ছে এ হামলা।“
“আমরা ইসরায়েলের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে হুঁশে ফিরে আসুন এবং ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা বন্ধ করুন।”
ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যকার এই সংঘাতের জন্য জাতিসংঘের পরমাণু প্রকল্প পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সিকে (আইএইএ) পক্ষপাতদুষ্ট বলেও দোষারোপ করা হয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, “ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ নিয়ে সম্প্রতি আইএইএ যে রেজোল্যুশন দিয়েছে, সেটি ছিল পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্ট এবং ইরানের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ। ইসরায়েলের পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষকরা তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আইএইএ-কে ব্যবহার করছে এবং আইএইএ-এর রেজোল্যুশনই ইসরায়েলকে ইরানে হামলা চালানো অজুহাত তুলে দিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, তেহরান বার বারই বলে আসছে যে তার পরমাণু প্রকল্পের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ। তবে সপ্তাহে আইএইএ এক রেজোল্যুশনে বলেছিল যে ১৯৭০ সালে জাতিসংঘের সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র বিরোধী (এনপিটি) যে চুক্তি করেছিল ইরান, তা লঙ্ঘন করেছে দেশটি। আইএইএ এই রেজোল্যুশন দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে ইরানে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।
গত ১৩ জুন ভোর সাড়ে চার টা থেকে ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ)। জবাবে সেদিন থেকেই ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা শুরু করে ইরানের সামরিক বাহিনী।
দুই দেশের সংঘাত শুরুর পর মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া, তবে ইসরায়েল তাতে আগ্রহ দেখায়নি। –সূত্র : আরটি
আরএস