ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
তিনি বলেছেন, এ হামলার পর বর্তমান পরিস্থিতি জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়েছে যা সাধারণ মানুষ, গোটা অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেয়া এক পোস্টে গুতেরেস বলেন, এই সঙ্কটময় মুহূর্তে অরাজকতার দুষ্টচক্র এড়ানো অত্যন্ত জরুরি। এর কোনো সামরিক সমাধান নেই। একমাত্র পথ কূটনীতি। একমাত্র আশ্রয় শান্তি।
গুতেরেস জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সংঘাত থেকে সরে আসার এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “উত্তেজনা প্রশমন এবং জাতিসংঘ সনদসহ আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য বিধান অনুযায়ী নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে আমি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি।”
এরআগে শনিবার স্থানীয় সময় রাতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা সম্পন্ন করেছে।
ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা চালিয়ে সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও পুরো বিশ্বের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান এ হামলায় অংশ নিয়েছে।
এর কিছুক্ষণ পর ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার পোস্ট করেন ‘ফোর্দো ইজ গন’ অর্থাৎ ‘ফোর্দো শেষ।’
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত করার অজুহাতে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।
এবার তেল আবিবের সঙ্গে যুক্ত হলো ইসরায়েলের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তবে ট্রাম্পের এই হামলার সিদ্ধান্ত তার নিজ রাজনৈতিক দলের ভেতর থেকেই সমালোচিত হয়েছে।
এই সংঘাতে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়া ট্রাম্পের যুদ্ধবিমুখ প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করবে বলেও সতর্ক করেছেন অনেকে।
বিআরইউ