কঠিন এক পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে পাকিস্তান। প্রশ্ন একটাই, নিজেদের প্রতিবেশী দেশ ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন হামলার সমর্থন না করেই কিভাবে তারা হোয়াইট হাউজের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে পারে, আবার প্রতিবেশী দেশেরও পাশে থাকতে পারে।
গত শনিবার পাকিস্তান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে “সত্যিকারের শান্তির দূত” বলে প্রশংসা করে। সেই সঙ্গে ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পরই ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের পক্ষে সক্রিয়ভাবে যোগ দেয়। এটিকে পাকিস্তান “বর্বরতা” বলে আখ্যা দিয়েছে।
ট্রাম্পের 'অসাধারণ রাষ্ট্রনায়কত্বের' প্রশংসা করার পর এখন পাকিস্তান সেই হামলার কঠোর নিন্দা করছে। বলছে, এটা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
পাকিস্তানের হঠাৎ এই পরিবর্তন অনেকে নজরে এনেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানি রাজনীতিক ও সাধারণ মানুষ 'বিব্রতকর' এবং 'লজ্জাজনক' শব্দ ব্যবহার করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত মালিহা লোধি বলেছেন, 'তেল মারা কখনও নীতিমালা হতে পারে না।'
পাকিস্তানের সিনেটের প্রতিরক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মোশাহিদ হুসাইন প্রথমে ট্রাম্পকে নোবেল দেওয়ার সুপারিশকে সমর্থন করেছিলেন। বলেছিলেন, ট্রাম্পের অহংকারে ঘি ঢাললেও সমস্যা নেই, কারণ ইউরোপিয়রাও তাই করেছে।
কিন্তু একদিন পর তিনিই বলেছেন, তিনি সরকারের নিন্দা সমর্থন করেন এবং পাকিস্তানকে উচিত সেই সুপারিশ প্রত্যাহার ও বাতিল করা। তিনি ট্রাম্পকে “যুদ্ধবাজ” বলে আখ্যা দেন।
বিবিসি বলছে, পাকিস্তানের এই 'ভারসাম্য রক্ষা' এখন ভয়াবহ কঠিন হয়ে পড়েছে।
আরএস