১২ দিনের ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের পর দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির অনুপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ইরানের জনগণ। যুদ্ধ চলাকালে তাকে একটি বাংকারে নেওয়া হয়েছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
তবে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তাকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, খামেনির এই দীর্ঘ অনুপস্থিতি এবং নীরবতা দেশজুড়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।
যদিও ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তবুও সর্বোচ্চ নেতাকে কোথাও দেখা যায়নি এবং তার পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্যও আসেনি।
খবরে বলা হয়, ১৩ জুন যুদ্ধ শুরুর পর খামেনিকে একটি নিরাপদ বাংকারে সরিয়ে নেওয়া হয়। যুদ্ধবিরতির পরও তিনি জনসমক্ষে আসেননি। ধারণা করা হচ্ছে, **জেরুজালেম হয়তো এখনো তাকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে—**এই আশঙ্কায় তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে তার শারীরিক অবস্থা কিংবা তিনি এখনও রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত তদারকি করছেন কি না— সে বিষয়ে কোনো সরকারি আপডেট দেওয়া হয়নি।
এমনকি যুদ্ধবিরতিতে মার্কিন মধ্যস্থতার বিষয়েও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি খামেনি। তার এ অনুপস্থিতি ও রাষ্ট্রীয় স্তরে কোনো স্পষ্ট বার্তা না থাকায় ইরানিরা এখন উদ্বিগ্ন।
এ প্রসঙ্গে আয়াতুল্লাহ খামেনির আর্কাইভ অফিসের একজন ঊর্ধ্বতন সহকারী মেহদি ফাজায়েলি বলেন, “আমাদের সবাইকে প্রার্থনা করা উচিত। সর্বোচ্চ নেতার নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা আছেন, তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবেই পালন করছেন। ইনশাআল্লাহ, আমাদের জনগণ তাদের নেতার পাশে দাঁড়িয়ে বিজয় উদযাপন করতে পারবে।”
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, খামেনির অনুপস্থিতি এবং তার পক্ষ থেকে কোনো দিকনির্দেশনা না আসায় তেহরানে রক্ষণশীল ও মধ্যপন্থি শিবিরের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, আয়াতুল্লাহ খামেনি তার মৃত্যুর পর দ্রুত ও সুশৃঙ্খলভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করতে তিনজন শীর্ষ ধর্মীয় নেতাকে সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত করেছেন।
ইএইচ