ধৈর্য্য ধরা ছাড়া কোনো উপায় নেই: তৌফিক-ই-ইলাহী

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২২, ০৬:০১ পিএম

বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সমাধানে ধৈর্য্য ধরা ছাড়া কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী।

রোববার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআডিএস) আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দেশে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের জন্য জ্বালানি তেলের সংকটকে দায়ী বলে মনে করেন জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী। তার মতে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েক মাস লেগে যাতে পারে। সে পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন তিনি। তার ভাষায়, ‍‍`ধৈর্য্য ধরা ছাড়া উপায় নেই।‍‍`

তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ আরও কয়েকটা প্রকল্প থেকে কাঙ্খিত সময়ে বিদ্যুাৎ পাওয়া যাচ্ছে না। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩ থেকে ৪ মাস পরে বিদ্যুৎ আসতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ভোলায় কিছু গ্যাস পাওয়া গেছে। সোলার সিস্টেম থেকে এক হাজার মেগাওয়াটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর মধ্যে এলএনজির দাম কমলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। সেচের মোট চাহিদার পুরোটাই সোলার সিস্টেমের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, আমাদের ক্যাপাসিটি অনেক আছে কিন্তু ফুয়েলের ঘাটতির জন্য আমরা পারছি না। আমাদের এখন ফরেন এক্সচেঞ্জ কনজাম করতে হবে। বিপদ কোন সময় কী আসে সারা পৃথিবীর। 

এর সঙ্গে একটি গ্রিড ফেল করেছিল। গ্রিড রিভাইভ করতে সময় লাগে। আমাদের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যে রিভাইভ হয়েছিল। পৃথিবীর অনেক দেশে ২-৩ দিন হয়ে গেছে। 

গত বছর পশ্চিমবঙ্গের দিকে একটা গ্রিড ফেল করেছিল প্রায় ২৩০ মিলিয়ন লোক এফেক্টেড হয়েছিল। সেটাও অনেক সময় লেগেছিল।

বিআইডিসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেস্টা ড. মশিউর রহমান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

টিএইচ