‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম থেমে যায়’

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২২, ১১:৫১ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ যখন যাত্রা শুরু করে, ঠিক সেই সময়েই ৭৫’র ১৫ আগস্টের আঘাতটা আসে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্যে দিয়ে থেমে যায় দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। জাতির পিতা বেঁচে থাকলে ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারতো।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৫০টি জেলায় ১০০টি মহাসড়ক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ যখন যাত্রা শুরু করে, ঠিক সেই সময়েই ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আঘাতটা আসে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে থেমে যায় দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। জাতির পিতা বেঁচে থাকলে ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারত।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া কত দেশকে দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখি। প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি বেঁচে থাকতেন, তার হাতে যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব থাকত, তাহলে ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হতো বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত। কিন্তু ঘাতকদের কারণে সেটা হতে পারেনি। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসেই আমরা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন করার সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করি।

দেশের উন্নয়নে সড়কের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের মূল চালিকা যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছি। পায়ে চলা পথগুলোও উন্নত করছি। ১০০ সড়ক নির্মাণের ফলে সড়কে নিরাপদ যাতায়াতে সুবিধা হবে। অর্থনৈতিকভাবে মানুষ উপকৃত হবে।

প্রধানমন্ত্রীর আগে কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে বিশ্বের বিস্ময়। তার নেতৃত্ব ও অনুপ্রেরণায় আমরা অসাধ্যকে সাধন করছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশকে স্মার্ট করতে হলে সড়কগুলোকে আরও স্মার্ট করতে হবে। রাস্তায় ও পরিবহনে শৃঙ্খলা না থাকলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে না। এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারব না।

অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে দুই হাজার ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ১০০টি মহাসড়কের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এসব সড়ক খুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে পথের দূরত্ব কমার পাশাপাশি কমবে দুর্ভোগও।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত আছে টাঙ্গাইল ও খুলনা জেলা। বাকি জেলাগুলো প্রোজেক্টরের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে।

এসএম