স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বছরব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সারাদেশ ব্যাপী ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। সারাদেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের অধিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগনকে ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধিতে সক্রিয় হওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে হবে।

গতকাল (১৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কমিটির প্রথম সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আরও বলেন, ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে এডিস মশার প্রজননস্থলগুলো চিহ্নিত করে লার্ভা ধ্বংস করার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। বসত বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা যাতে জন্মাতে না পারে সেজন্য ফুলের টব, টায়ার, ফ্রিজের নীচে কিংবা বাসার ভিতর জমা পানি প্রতি তিনদিনে একবার পরিস্কারে জোর দেয়া জরুরি। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, হাসপাতাল ও এর মেডিকেল বর্জ্য এবং বিভিন্ন থানায় জব্দকৃত যানবাহনে যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে সেজন্য বছরের প্রথম থেকেই সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষকে সচেতন হওয়ার হতে হবে। আমরা নিজেরা সচেতন হলে ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধ কার্যকর করা সম্ভব।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ায় গ্রামেও নগরায়নের ছোঁয়া লেগেছে ফলে গ্রামেও স্বচ্ছ জমাটবদ্ধ পানি থেকে এডিস মশার লার্ভা উৎপন্ন হতে পারে। যেহেতু গতবছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে তাই আশঙ্কার কথা হচ্ছে এবছর তা আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে যদি আমরা এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করতে না পারি। গতবার মশার কীটনাশক স্প্রে নিয়ে কিছু বিতর্ক তৈরি হওয়ায় এ বছর পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যাতে ঔষুধ কার্যকর হয়।

মন্ত্রী এ সময় চলতি বছরের ডেঙ্গুর গবেষণা ও ডাটা সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় ফলাফল সংরক্ষণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশনা দেন। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় যাতে ঠিক থাকে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখার জন্য বলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য ও এডিসসহ নানা ধরনের মশার বিষয়ে শিক্ষা কারিকুলামে যোগ করা যায় কিনা সে বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিবেচনার জন্য বলেন।

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএস