আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে মহাসড়কে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ, যানবাহনের সুষ্ঠু চলাচল নিশ্চিত করতে সংস্থাটি একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে।
বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান জানান, ‘ঈদযাত্রা যেন নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক হয়, সে জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে বিশেষ নজরদারি শুরু হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত, পরিবহন পরিদর্শক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ তদারকি চলছে।’
নজরদারি, অভিযানে কঠোরতা:
ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ দল নিয়মিতভাবে দায়িত্ব পালন করছে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি, লাইসেন্স ছাড়া চালক এবং যাত্রী হয়রানির বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছে মোবাইল কোর্ট।
এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পরিবহন সংস্থাকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে জরিমানাও করা হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ গ্রহণ এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার জন্য চালু রয়েছে হেল্পলাইন ১৬৩৩৭।
টার্মিনালে যাত্রীসেবা ডেস্ক:
বিভিন্ন আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ও ব্যস্ত পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে যাত্রীসেবা ডেস্ক। এসব ডেস্কে যাত্রীরা যেকোনো অভিযোগ বা সমস্যা জানাতে পারছেন এবং পাচ্ছেন তাৎক্ষণিক সহায়তা।
দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতা:
যাত্রী নিরাপত্তার অংশ হিসেবে চালক ও হেলপারদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিফলেট বিতরণ, পথসভা ও ব্রিফিং কার্যক্রম চালাচ্ছে বিআরটিএ। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতি বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে সংস্থাটি।
সমন্বিত তদারকি ঈদের আগপর্যন্ত:
বিআরটিএ জানিয়েছে, ঈদের আগের সাত দিন এবং পরের সাত দিন পর্যন্ত এই তদারকি কার্যক্রম চলবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা প্রশাসন এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এই উদ্যোগ।
বিআরটিএ’র এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সাধারণ যাত্রীর স্বার্থে আমরা কঠোরভাবে মাঠে রয়েছি। কোনো অনিয়ম বা হয়রানি সহ্য করা হবে না।’
যাত্রীদের প্রতি আহ্বান:
বিআরটিএ যাত্রীদের নির্ধারিত ভাড়ায় টিকিট কাটার অনুরোধ জানিয়েছে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত ভাড়া, হয়রানি বা অনিয়ম দেখা গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ১৬৩৩৭ নম্বরে অভিযোগ করার অনুরোধও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিআরটিএ’র এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পরিবহন মালিক, চালক, শ্রমিক ও যাত্রীদের সচেতন সহযোগিতা প্রয়োজন—এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি নিজেই।
বিআরইউ