সরকার নিজের কবর নিজেই খোদাই করেছে : কর্নেল অলি

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২২, ০২:২৬ পিএম

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী নিশিরাতের জনবিচ্ছিন্ন সরকার মনে করে আওয়ামী লীগ হলো দেশের সবকিছুর মালিক-মোক্তার। আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনের সদস্যবৃন্দরা হলো এর স্বত্ত্বাধিকারী।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার নিজের কবর নিজেই খোদাই করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

শনিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর এফডিসি সংলগ্ন এলডিপির পার্টি অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. কর্নেল (অব.) অলি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত ১৩ বছর দেশে মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, সুশাসন এবং জবাবদিহিতা নাই বললেই চলে। এর সুযোগ নিয়ে অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এবং কিছুসংখ্যক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারী একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে।

এলডিপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) সুপরিকল্পিতভাবে দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বর্তমানে কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রশ্নবিদ্ধের ঊর্ধ্বে নয়। অনেকেই বর্তমান সরকারের পূজারি হিসেবে কাজ করছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মাদক, অসামাজিক কার্যকলাপ নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। 

অলি আহমদ বলেন, দুর্নীতি, অন্যায়, অবিচার এবং নির্যাতন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। এমনকি সর্বনিম্ন স্তরে খাজনা দিতে গেলেও ঘুষ দিতে হয়। সামগ্রিকভাবে সমাজ ধ্বংসের শেষ দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। সরকার নিজের কবর নিজেই খোদাই করেছে।

অলি আরো বলেন, সরকার ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি এবং বিভিন্ন দেশের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে ঘুরছে। কয়েক মাস আগেও তুলনামূলকভাবে পার্শ্ববর্তী ভারতের অর্থনীতি আমাদের চেয়ে অনেক খারাপ ছিল।

কিন্তু বর্তমানে তারা আমাদের চেয়ে এগিয়ে গেছে। অথচ কয়েক মাস আগেও আমাদের অর্থনীতি ছিল সন্তোষজনক। দুঃখের বিষয় হলো, চাটুকার, দুর্নীতিবাজ, দায়বদ্ধহীনতা, বিনা ভোট, নিশিরাতের নির্বাচন, আত্ম-অহংকার এবং আমিত্ববোধ আগামীতে এই সরকারের পতনের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

সরকার বর্তমান অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সবার সঙ্গে পরামর্শ করে, একটি নির্দলীয় সরকার গঠন করে নিরাপদে প্রস্থান করবে বলে মনে করেন অলি আহমদ বীরবিক্রম।

সংবাদ সম্মেলনে আরো ছিলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামুল বশির, অ্যাডভোকেট ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, অ্যাডভোকেট মাহমুদ মোর্শেদ, অ্যাডভোকেট খাইরুল কবির পাঠান, হামিদুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।


আমারসংবাদ/টিএইচ