বাম জোটের হরতালে বাংলাদেশ ন্যাপ‍‍`র সমর্থন

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২২, ০৪:২৩ পিএম

জ্বালানি তেল ও ইউরিয়া সারের মূল্যবৃদ্ধি এবং পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি ও লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সারা দেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা আধা বেলা হরতালে সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

বুধবার (২৪ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া সমর্থন ঘোষণা করেন।

তারা বলেন, ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল, অকটেনের এবং ইউরিয়া সারের যে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে, এতে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ও পরিবহনে ভাড়া অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মানুষের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলছে।

বাজার মূল্যের সাথে মানুষের আয়ের সাথে কোন সম্পর্ক না থাকায় সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছে। সরকারের গণবিরোধী এসব সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বাম গণতান্ত্রিক জোট যে হরতালের ডাক দিয়েছে তাতে আমরা নৈতিকভাবে সমর্থন জানাচ্ছি। একই সাথে সরকারকে জ্বালানি তেল ও ইউরিয়া সারের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।

তারা আরো বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি অনুযায়ী যখন জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো সম্ভব ছিল, তখন লুটপাট বহাল রাখার জন্য আইএমএফের কাছে মাথা বন্ধক রেখে জ্বালানি তেলের মূল্য লিটার প্রতি অক্টেন ৪৬, পেট্রোল ৪৪ এবং ডিজেল ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ছিল। 

ফলে কৃষিসহ প্রতিটি সেক্টরের দাম বেড়ে যায় এবং সাধারণ মানুষ সর্বগ্রাসী সংকটে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে ২৫ আগস্ট বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধদিবস হরতালের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করছি।

তারা বলেন, বুধবার (২৪ আগস্ট) সকল রাজনৈতিক দলের স্লোগান হওয়া উচিত- দাম কমাও-মানুষ বাঁচাও-জান বাচাঁও। এই দেশে ৫ শতাংশ মানুষ বেহেশতে আছে। আর ৯৫ শতাংশ মানুষ জাহান্নামে আছে।

দেশে দুই ধরনের অর্থনীতি চলছে। একটা হচ্ছে ৫ শতাংশ মানুষের অর্থনীতি, যারা দেশের টাকা লুট করছে। আরেকটি হচ্ছে ৯৫ শতাংশ মানুষের অর্থনীতি, এই ৯৫ শতাংশ মানুষের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের থাকতে হবে।


আমারসংবাদ/টিএইচ