জেলহত্যা দিবস ‌‘জাতীয় দিবস’ হবে কিনা, বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ের সিদ্বান্ত: কাদের

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২, ১০:২৬ এএম

জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য যে দাবি উঠেছে সেটি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সে (সোহেল তাজ) দাবি করতেই পারে। এটা একটা বিষয় না। আসলে আমাদের এত দিবস, সেটা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত বিষয়।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগ।

৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় হল ৭৫-এর ৩ নভেম্বর। এই দিন ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

জাতীয় নেতা প্রয়াত তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণার দাবিতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দেন।

৩ নভেম্বর জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা ছিল ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা অংশ বলে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই হত্যার অপরাজনীতির ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ২৩টি তাজা প্রাণে রক্তাক্ত হয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। তাদের প্রধান টার্গেট ছিল তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


ইএফ