ইসিকে ৭ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৩, ০৪:২৭ পিএম

আগামী ৭ দিনের মধ্যে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের নিবন্ধন চেয়ে ইসিকে আল্টিমেটাম দিয়েছে নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ। এ সময়ের মধ্যে নিবন্ধন না দিলে ইসি ঘেরাও করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রাশেদ খান।

তিনি বলেন, আমাদের নিবন্ধনের বিষয়টি যদি পুনঃবিবেচনা না করা হয় প্রয়োজনে আবারও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবো। আমাদের কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল করেছি বলে পথে আটকে দিয়েছে। এরপর প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের সামনেই ঘেরাও কর্মসূচি দেবো। আমরা পুনঃবিবেচনার জন্য ইসিকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি। যেন আমাদেরসহ যৌক্তিকভাবে অন্যান্যদের নিবন্ধন দেয়।

এর আগে গত ২৫ জুলাই নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে দলটি। এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় পল্টনে অবস্থিত গণঅধিকার পরিষদের এই অংশের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাত্রা করে। তবে বাংলামোটরে মিছিলটি আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপরে রাশেদ খানসহ পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি নিয়ে আসে।

সেসময় রাশেদ খান বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে আপনারা পুনঃবিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারেন। সেই জায়গা থেকে আমরা পুনঃবিবেচনা করার জন্য স্মারকলিপি দিয়েছি। ইসিকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি। যেন আমাদেরসহ যৌক্তিকভাবে অন্যান্যদের নিবন্ধন দেয়। যাদের সক্রিয় রাজনৈতিক দল আছে প্রত্যেকের যেন নিবন্ধন দেয়। এজন্য আমরা সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি এবং একইসঙ্গে দেখেন- আমাদের মিছিলে হাজার হাজার মানুষ শামিল হয়েছিল। যারা নিবন্ধন পায়নি তাদের প্রত্যেকের কাছে আমাদের আবেদন- রাস্তায় নামুন প্রতিবাদ করুন।

তিনি বলেন, এই যে বর্তমান নির্বাচন কমিশন, তারা এক প্রকার দলীয় দাসত্ব করছে। সরকার যা বলছে সেই মোতাবেক তারা কাজ করছে। ইসিকে বলা হয় একটা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, অথচ ইসির স্বাধীনতা বলতে আমরা কিছু দেখছি না। নির্বাচন কমিশন বর্তমানে এক প্রকার অসহায়।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আমাদের নিবন্ধন দেয়নি অথচ ভূঁইফোড় দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে। এই দলের কোনো অফিস নেই, কোনো কর্মকাণ্ড নেই। এই দল দুটি মানববন্ধন ও রুমের মধ্যে বৈঠক ছাড়া কিছুই করেনি। অথচ দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়া হলো।

তিনি আরও বলেন, পাতানো নির্বাচন করার জন্য দল দুটিকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। আমাদের মতো দলকে নিবন্ধন দিলে হয়ত আরও বেশি শক্তিশালী হতাম। আমরা রাজপথে আন্দোলন করতাম। এর আগে বিভিন্ন মাধ্যমে তারা অফার করেছে, যদি আপনারা নির্বাচনে আসেন তবে নিবন্ধন দেওয়া হবে। ওরা বার বার বলেছে আমাদের কয়টি আসন লাগবে। তবে আমরা সরকারকে পরিষ্কার বলেছি, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না। এজন্য আমাদের নিবন্ধন দেয়নি।

আরএস