আসিফ মাহমুদ

সব ছেড়ে রাজপথে নেমে যেতে মন চায়

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ১১:৫৮ এএম

মাঝে মাঝে সবকিছু ছেড়ে রাজপথে নেমে যেতে মন চায় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

রোববার রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ লেখেন, “স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে তা রক্ষা করা কঠিন—এই সত্যের চেয়ে বড় আর কিছু নেই। লড়াই যেন থামছেই না। রাজপথের সংগ্রাম একটি সামষ্টিক লড়াই। জুলাইয়ের যোদ্ধাদের মিলনস্থল হয়ে উঠায় রাজপথ আমার কাছে একরকম ভালো লাগার জায়গাও।”

তিনি আরও লেখেন, “মাঝে মাঝে মনে হয়, সব ছেড়ে রাজপথে নেমে যাই। সেটাই যেন আমার প্রকৃত জায়গা—যেখানে আমি অভ্যস্ত ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তবুও সব ছেড়ে না গিয়ে থেকে যেতে হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পাহারাদার হয়ে। জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আওয়াজ পৌঁছে দেওয়ার জন্য। আমাদের এই লড়াই অনেক সময় দেখা যায় না, শোনা যায় না, তবুও তা চলছে।”

সরকারে থাকার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু উপলব্ধির কথা তুলে ধরে তিনি লেখেন, “সরকারে থাকা যেন এখন দুই ধার বিশিষ্ট তলোয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা। সরকার কোনো ভুল করলেই, তা আমাদের এখতিয়ারে না পড়লেও জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় আমাদের। আবার যখন ছাত্র-জনতা মাঠে নামে, রাষ্ট্রের ভরকেন্দ্রগুলো আমাদের সন্দেহের চোখে দেখে। অনেকেই ভাবে, এসব আমরা করাচ্ছি। 'জুলাই' প্রশ্নে আপোষ না করায়, ক্ষমতার বিভিন্ন ভরকেন্দ্রে আমরা চক্ষুশূল হয়ে উঠেছি—এটাও যেন একরকম বোনাস!”

রাষ্ট্রীয় বাস্তবতা তুলে ধরে আসিফ মাহমুদ আরও লেখেন, “রাষ্ট্র একটি জটিল পরিসর। এখানে কোনো কিছু বাস্তবায়ন করা সহজ নয়। তবে আশার কথা হলো, এই উপদেষ্টা পরিষদ, নানা বাধা সত্ত্বেও, ছাত্র-জনতার পক্ষেই অবস্থান নিচ্ছে এবং জনরায় বাস্তবায়নে সচেষ্ট রয়েছে। যতদিন এ পথ অনুসৃত হবে, ততদিন আমি আছি। কিন্তু যদি শহীদদের পক্ষ ছেড়ে দিতে হয়, তাহলে আমার এখানে আর থাকার প্রয়োজন নেই।”

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়াকে “জুলাই জনতার আরেকটি বিজয়” হিসেবে অভিহিত করে তিনি লেখেন, “স্টাবলিশমেন্টে যারা এখনও আওয়ামী-সিমপ্যাথাইজার, তারা সতর্ক হোন। সামান্য অসতর্কতা আপনাদের পতনের কারণ হতে পারে। জুলাইকে স্বীকার না করে এই দেশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের কোনো সুযোগ নেই।”

সবশেষে তিনি কিছু ভুয়া প্রচারণা নিয়েও প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি লেখেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ফটোকার্ড দেখলাম, যেখানে বলা হয়েছে—মাহফুজ ভাই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। চিন্তার ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু তা মিথ্যাচারের মাধ্যমে উপস্থাপন অনুচিত। মাহফুজ ভাই শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার পক্ষে ছিলেন এবং এ বিষয়ে যুক্তিপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। (তথ্যসূত্র গোপনীয় হওয়ায় এখানেই থামছি)।”

ইএইচ