বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, “তারেক রহমান এখন মানুষের স্বপ্ন পূরণের ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত হয়েছেন।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে সাদা দলের আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “তারেক রহমান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পথ অনুসরণ করেছেন বলেই একজন শুদ্ধ রাজনীতিবিদ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার এক শক্তিশালী প্রতীক। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের ব্যক্তিত্বে তিনি পরিণত হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে শহীদ জিয়াউর রহমানের শাসনকালই ছিল গৌরবের সময়। তার শাসনকাঠামো পথনির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হয়। বেগম খালেদা জিয়াও এই শাসন কাঠামো অনুসরণ করেছেন বলেই ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছেন। আজ তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও তার অবস্থান উচ্চমাত্রায় স্থিত।”
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালাম।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান ছিলেন বাস্তববাদী ও ভবিষ্যতমুখী এক নেতা। তিনি জাতিকে একটি নতুন আত্মপরিচয় ও আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান করেন। তিনি ছিলেন উৎপাদনমুখী রাজনীতির প্রবক্তা এবং আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষাবান্ধব রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়াউর রহমান শিক্ষা খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। যদিও তিনি কোনো বিশদ শিক্ষাদর্শন রচনা করেননি, তবে তার গৃহীত নীতিমালা, কর্মসূচি ও বক্তব্যে তার শিক্ষাভাবনা স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়েছে।”
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান বলেন, “গত ১৭ বছরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা আশাবাদী যে, আগামীর বাংলাদেশ হবে একটি শিক্ষানির্ভর রাষ্ট্র। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখাতেও এই লক্ষ্যকে গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়েছে।”
সেমিনারে বক্তারা শহীদ জিয়াউর রহমানের অবদান ও বিএনপির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনার বিষয়ে আলোচনা করেন এবং উপস্থিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ইএইচ