সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে যে বার্তা দিলেন সারজিস আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে লাইভে জরুরি বার্তা দিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। 

তিনি সমুদ্রের ব্লু ইকোনমি এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা নিয়ে গুরুত্বপুর্ণ বক্তব্য দেন।

বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে সারজিস আলম বলেন, “এনসিপির ২৪ দফা ইশতেহারের ২১ নম্বরে জলবায়ু সহিষ্ণুতা এবং নদী-সমুদ্র রক্ষার কথাটি তুলে ধরা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা প্রায় ল্যান্ডের সমান। এটি অপার সম্ভাবনার ভান্ডার। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে এই ব্লু ইকোনমিকে সফলভাবে গড়ে তোলা যায়, কীভাবে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা যাবে এবং সমুদ্রতীরবর্তী জনগোষ্ঠীর টেকসই জীবন নিশ্চিত করা যাবে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রতীরবর্তী মানুষের বসতবাড়ি অদূর ভবিষ্যতে সমুদ্রগর্ভে চলে যেতে পারে, তাই আগেভাগেই সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

তিনি সরকারের ভূমিকা উল্লেখ করে বলেন, “সরকারি ব্যবস্থাপনায় পূর্বাভাস যেন সময়মতো দেওয়া হয় এবং ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।”

সারজিস আলম আরও বলেন, “আমরা চাই এই সমুদ্রকে সম্পদে পরিণত করতে এবং খনিজ সম্পদ আহরণ করতে, যা অবশ্যই টেকসই পদ্ধতিতে হতে হবে।”

এর আগে, গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণের পর মাইক্রোবাসে করে এনসিপির পাঁচ নেতা উখিয়ার ইনানীতে যান। এ সফরে উপস্থিত ছিলেন সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা এবং তার স্বামী ও এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদ সাইফুল্লাহ।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকার দিনটি উদযাপন করলেও, গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া এনসিপির এসব নেতার হঠাৎ কক্সবাজার আগমন রাজনৈতিক মহলে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে। সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়েছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন; তবে নেতারা এটি গুজব হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছেন।

এদিকে, আজ বিকেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পর্ষদকে অবগত না করে কক্সবাজার সফরে যাওয়া ওই পাঁচ নেতাকে ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ’ দেওয়া হয়েছে।

ইএইচ