বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২২, ০৯:৫৬ পিএম

বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে চতুর্থ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩৫ রান। অন্যদিকে অ্যান্টিগা টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে তুলে নিতে হত ৭ উইকেট। যা এক প্রকার অসম্ভবের বাংলাদেশের জন্য।

তবে তৃতীয় দিন খালেদের ১১ বলে তিন উইকেট তুলে নেওয়ার মতো দারুণ কিছু হলে লড়াইয়ের আত্মবিশ্বাস পেত টাইগাররা। যদিও চতুর্থ দিন সকালে কোনো বিপর্যয় ঘটতে দেয়নি দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান জারমেইন ব্ল্যাকউড এবং জন ক্যাম্পবেল।

সকালে ৭ ওভার খেলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩৫ রান তুলে পেলে স্বাগতিকরা। যার ফলে অ্যান্টিগা টেস্টে ৭ উইকেটের সহজ জয় দেখে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের দল।

অ্যান্টিগায় দুই দলের মধ্যকার প্রথম টেস্টে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক উইন্ডিজ। আগে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।

সেখান থেকে অধিনায়ক সাকিবের লড়াকু অর্ধশতকে প্রথম ইনিংসে ১০৩ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। সাকিব করেন ৫১ রান। এ ছাড়া দলের ছয় ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।

জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রান তোলে স্বাগতিক উইন্ডিজরা। যার বড় কৃতিত্ব দলটির অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট এবং সহঅধিনায়ক ব্ল্যাকউডের। ব্র্যাথওয়েট করেন ৯৪ রান এবং ব্ল্যাকউডের করেন ৬৩ রান।

তবে এর জন্য বাংলাদেশি ফিল্ডারদেরও কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। প্রয়োজনের সময় উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের ক্যাচ মিস বা রিভিউ না নিয়ে কাঙ্খিত সুযোগ দিয়েছেন তারা। বিশেষ করে ব্র্যাথওয়েটের শূন্য রানে জীবন পাওয়া বা ব্ল্যাকউডের ব্যাটের কানায় লাগার পরেও রিভিউ না নেওয়া।

তবুও মিরাজের ৫৯ রানে ৪ উইকেটের পাশাপাশি খালেদ ও এবাদতের ২টি করে উইকেট শিকারে মাত্র ১৬২ রানের লিড পায় উইন্ডিজ।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে আবার টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ইনিংস হারের প্রহর গুনছিল বাংলাদেশ। তবে আবারও দৃশ্যপটে হাজির সাকিব। আরেকটি ফিফটিতে ইনিংস পরাজয় ঠেকিয়ে দলকে এনে দিলেন লিড। এবার অবশ্য সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন নুরুল হাসান সোহানকে।

দুইজনে সপ্তম উইকেটে ১২৩ রান যোগ করেন। সাকিব ৬৩ ও সোহান করেন ৬৪ রান। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে করে ২৪৫ রান। শেষ পর্যন্ত লিড নেয় ৮৩ রানের।

৮৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে খালেদের ১১ বলে ৩ উইকেট শিকারে টালমাটাল হয়ে যায় উইন্ডিজরা। ৯ রানে ৩ উইকেট হারালে লড়াইয়ের আশা পায় বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পবেল ও ব্ল্যাকউড ৭৯ রানের জুটি গড়ে সহজ জয় নিশ্চিত করে উইন্ডিজের। ম্যাচে একমাত্র ফাইফার পাওয়া উইন্ডিজ পেসার কেমার রোচ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান।