লিটনবিহীন কলকাতা দেখেনি জয়ের মুখ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৩, ১০:২২ এএম

টানা দুই ম্যাচ জয়ের পর তৃতীয় ম্যাচে হারের মুখ দেখল কলকাতা নাইট রাইাডর্স। জয়ের আশায় শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মুখোমুখি হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। কেকেআরকে ২৩ রানে হারিয়ে আসরে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় হায়দরাবাদ।

এই ম্যাচের আগেই কলকাতা শিবিরে যোগ দেন বাংলাদেশি তারকা লিটন দাস। তবে মূল একাদশে জায়গা মেলেনি তার। লিটনহীন কলকাতাও দেখেনি জয়ের মুখ।

ইডেন গার্ডেনসে এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান তোলে হায়দরাবাদ। জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২০৫ রানে থামে কলকাতা।

ঘরের মাঠে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কলকাতা অধিনায়ক নিতিশ রানা। ভুল করেও কি ভাবতে পেরেছিলেন, পরের সময়টা কেকেআর বোলারের উপর দিয়ে এমন ঝড় বইবে! ওপেনিংয়ে মায়াঙ্ক আগারওয়াল (৯) ও হ্যারি ব্রুক মিলে ৪.১ ওভারে ৪৬ রান তোলেন। আন্দ্রে রাসেলের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আগারওয়াল। এরপর রাহুল ত্রিপাঠিকেও (৯) ফেরান রাসেল। সেখান থেকে পরের সময়টা শুধুই হ্যারি ব্রুকের। কলকাতার বোলারদের তুলোধুনো করে মাত্র ৫৫ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন ব্রুক। ব্রুক তার ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১২ চার ও ৩ ছয়ে।

ব্রুককে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। ২৬ বলে ৫০ রান করেন তিনি। আরেক ব্যাটার অভিষেক শর্মা খেলেন ১৭ বলে ৩২ রানের কার্যকরী ইনিংস। শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদ ঝড় থামে ৪ উইকেটে ২২৮ রানে।

কলকাতার হয়ে ২.১ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন রাসেল। উইকেটবিহীন থাকলেও রানবন্যার এমন ম্যাচেও সুনিল নারিন ৪ ওভারে দেন মাত্র ২৮ রান।

২২৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই খেই হারায় কলকাতা। লিটন দাসকে না খেলিয়ে রহমতউল্লাহ গুরবাজের উপর আজও ভরসা রেখেছিল কেকেআর। তবে বড় ম্যাচে ওপেনিংয়ে ভালো শুরু এনে দেওয়ার বদলে ইনিংসের মাত্র তৃতীয় বলেই আউট হন গুরবাজ। শূন্য রানে সাজঘরে ফিরে বিপাকে ফেলেন দলকে।  চতুর্থ ওভারে পরপর দুই বলে ভেঙ্কটেশ আইয়ার (১০) ও নারিনকে (০) ফেরান মার্কো জেনসেন। ২০ রানে ৩ উইকেট হারানো কলকাতাকে এরপর ট্র্যাকে ফেরান অধিনায়ক রানা ও নারায়ণ জগদীশ। দুজনের ৬২ রানের জুটি শেষ হয় দলীয় ৮২ রানে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে নারায়ণ আউট হলে।

রাসেলও (৩) দ্রুত ফিরে গেলে একাই চেষ্টা চালিয়ে যান রানা। হায়দরাবাদ বোলারদের সামনে গড়ে তোলেন শক্ত প্রতিরোধ। কলকাতা অধিনায়কের ৪১ বলে করা ৭৫ রানের ইনিংসটি শুধুই ব্যবধান কমিয়েছে। ৫ চার ও ৬ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি থামে নটরাজের বলে সুন্দরের হাতে ক্যাচ তুলে। রিঙ্কু সিং অপরাজিত থাকেন ৩১ বলে ৫৮ রানে। শেষ ওভারে কলকাতার প্রয়োজন ছিল ৩২ রান। রিঙ্কু সিং ক্রিজে ছিলেন। কিন্তু রূপকথা রোজ হয় না। কলকাতাও তাই জয় পেল না।

৪ ম্যাচ শেষে দুটি করে জয় ও হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে কলকাতার অবস্থান চারে। ৪ ম্যাচে ২ জয়ে কলকাতার সমান ৪ পয়েন্ট হলেও রানরেটে পিছিয়ে হায়দরাবাদ আছে সাত নম্বরে।

এআরএস