চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০ ওভারে করার দাবি সম্প্রচারকারী সংস্থার

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৩, ০৪:৪৯ পিএম

ওয়ানডে বিশ্বকাপের মাঝেই চলছে অন্য খেলার প্রস্তুতি। দু’বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হওয়ার কথা পাকিস্তানে। ওই প্রতিযোগিতায় যোগ্যতা অর্জন করতে হলে ওয়ানডে বিশ্বকাপে লিগ পর্বে প্রথম আট দলের মধ্যে থাকতে হবে। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৫০ ওভারের ক্রিকেটই হওয়ার কথা। কিন্তু বেঁকে বসেছে সম্প্রচারকারী সংস্থা।

২০২১ সালে ক্রিকেট বোর্ডগুলোর সাথে কথা বলে ঠিক হয়েছিল, ২০২৩ সালের বিশ্বকাপই হবে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যোগ্যতা অর্জনের মাপকাঠি। যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) জানায় এবারের বিশ্বকাপের মাঝে। তাই প্রথম দিকে পিছিয়ে পড়া দলগুলো চাপে পড়ে যায়। যেমন ইংল্যান্ড এবারের বিশ্বকাপে লিগ তালিকায় তলানিতে ছিল।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যোগ্যতা অর্জন করতে হলে আটের মধ্যে থাকতে হবে। তাই ইংল্যান্ড এখনো অনিশ্চিত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুযোগ না-ও পেতে পারে বাংলাদেশ। এমন লড়াইয়ের মাঝে হঠাৎ করেই তৈরি হয়েছে নতুন জটিলতা। সম্প্রচারকারী সংস্থা ৫০ ওভারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চাইছে না। তারা চাইছে, এই প্রতিযোগিতায় হোক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট।

ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ সূত্রে জানা গেছে, ভারতের সম্প্রচারকারী সংস্থা আট দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চাইছে। সেটার বড় কারণ আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওই প্রতিযোগিতা হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে। জুন মাসের ওই প্রতিযোগিতায় খেলা যে সময় হবে, তা বাংলাদেশ ও ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দর্শক টানার পক্ষে সুখকর নয়।

কারণ যুক্তরাষ্ট্র এবং এশিয়ার সময়ের ব্যবধান অনেকটাই। তাই ওখানে সকালে খেলা হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় ওই ম্যাচ শেষ হতে অনেক রাত হয়ে যাবে। ক্ষতি হবে সম্প্রচারকারী সংস্থার। তাই তারা চাইছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হোক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। যে প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা পাকিস্তানে।

সম্প্রচারকারী সংস্থা চাইছে বলে ওয়ানডে ক্রিকেটের জায়গায় কি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলা হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে? এই পরিবর্তন করা একটু কঠিন। কারণ ওয়ানডে বিশ্বকাপ হচ্ছে ৫০ ওভারে। সেখান থেকে যোগ্যতা অর্জন করে দলগুলোকে টি-টোয়েন্টি খেলতে বললে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সুযোগ না পাওয়া দলগুলো প্রতিবাদ করতে পারে।

প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও। এবারের বিশ্বকাপের শুরুর দিকে মাঠে লোক হচ্ছিল না। আগ্রহ তৈরি হচ্ছিল না তেমন। যা চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছিল। ভারতের ম্যাচেও ফাঁকা আসন দেখা গেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হওয়ার কথা ২০২৫ এবং ২০২৯ সালে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে দু’বছর পরপর। এছাড়াও ২০২৮ সালে অলিম্পিক্সেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হবে। এমন অবস্থায় ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে কতটা আগ্রহ থাকবে তা সত্যিই চিন্তার।

২০২৭ এবং ২০৩১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সম্প্রচারস্বত্ব ইতোমধ্যেই বিক্রি হয়েছে।। সেই প্রতিযোগিতা নিয়েও আগামী দিনে প্রশ্ন তুলতে পারে সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলো। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়েই আগ্রহ বেশি। তাই এ ধরনের ক্রিকেটই বেশি আয়োজন হোক বলে চাইছে সংস্থাগুলো। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

এইচআর