শারজাহতে ম্যাচে আরব আমিরাত টিকে ছিল অনেকটা সময় পর্যন্ত। তবে মুস্তাফিজুর বারবারই ম্যাচটা টেনে এনেছিলেন বাংলাদেশের দিকে। দুই ডেথ ওভারে করেছেন মোট সাতটি ডট বল। উইকেট ছিল ১টি। তবে মূল কাজের কাজ করে দিয়েছে ডট বলগুলোই।
টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজুর রহমানের ইতিহাসটাও হয়েছে ওই ৭ ডট বলের কল্যাণে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে ডেথ ওভারে ৩০০ ডট বল দিয়েছেন বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান। আগে থেকেই এই তালিকায় মুস্তাফিজ ছিলেন সবার ওপরে। গতকাল সেটাকে নিয়ে গেলেন অন্য মাত্রায়।
শনিবার আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই কৃতিত্বে নাম লেখান মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের এই পেসার যেদিন ডেথ ওভারে ৩০০ ডটবল দিয়েছেন, তখন পর্যন্ত আর কোনো বোলারের ২৫০ ডট বলের রেকর্ডও নেই। দুইয়ে থাকা ক্রিস জর্ডানের ডট বল ২৪১টি।
ডেথ ওভারে সবচেয়ে বেশি ডট বল
৩০০ - মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ)
২৪১ - ক্রিস জর্ডান (ইংল্যান্ড)
২৪০ - টিম সাউদি (নিউ জিল্যান্ড)
২২২ - হারিস রউফ (পাকিস্তান)
২০৮ - জাসপ্রিত বুমরাহ (ভারত)
তালিকার এই ৫ বোলারের মধ্যে সবচেয়ে কম রানের তালিকায় মুস্তাফিজ আছেন তিনে। সেদিন বিবেচনায় জাসপ্রিত বুমরাহ আর হারিস রউফ আছেন শীর্ষে। ৮৭ ইনিংসে ৭২৫ বল করে মুস্তাফিজ ডেথ ওভারে দিয়েছেন ৯৯০ রান। বুমরাহ ৫৬৩ রান খরচা করেছেন ৪৯৫ বলে। আর হারিস রউফ ৭৮২ রান দিয়েছেন ৫৮৬ বল করে।
তালিকায় উইকেটের দিক থেকে ফিজের আগে আছেন অবশ্য কেবলই টিম সাউদি। ১০০ ইনিংসে ডেথ ওভারে সাউদির উইকেট ৬৫টি। ১৩ ইনিংস কম বোলিং করে মুস্তাফিজের উইকেট ৬৩।
আবার শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বাদ দিলেও ডট বলের পরিসংখ্যান যথেষ্ট দারুণ মুস্তাফিজুর রহমানের জন্য। সবধরণের টি-টোয়েন্টি মিলে ডেথ ওভারে ৮১৬ ডটবল তার। এই হিসেবে মুস্তাফিজের অবস্থান তিনে।
সবরকমের টি-টোয়েন্টি বিবেচনায় ডেথ ওভারে ১ হাজার ১৬৪ ডট বল আছে ডোয়াইন ব্রাভোর। দুইয়ে আছেন ৮৯৩ ডট বল দেয়া ক্রিস জর্ডান। তিনে আছেন মুস্তাফিজ। এই তালিকায় আর কারোরই ৮০০ ডট বল দেয়ার কৃতিত্ব নেই।
আরএস