সম্প্রতি ভারত, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্স জনমনে চরম অনাস্থা সৃষ্টি করেছে।
পরপর একাধিক হারে ব্যথিত সমর্থকরা প্রশ্ন তুলেছেন—বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে কি নেতৃত্বের অভাব প্রকট হয়ে উঠেছে?
বিশ্লেষকরা বলছেন, দলীয় পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার অভাব, ম্যাচ পরিস্থিতি পড়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যর্থতা এবং সিনিয়র-জুনিয়র সমন্বয়ের ঘাটতি এই অনাস্থার পেছনে বড় কারণ। বর্তমান অধিনায়কের অধীনে বেশ কিছু ম্যাচে দল এগিয়ে থেকেও পরাজিত হয়েছে, যা নেতৃত্বের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
অধিনায়কত্ব নিয়ে চলমান আলোচনা নতুন কিছু নয়, তবে এবার সেটি আরও স্পষ্ট। সমর্থকদের একাংশ মনে করছেন, নেতৃত্বে এমন কেউ থাকা দরকার যিনি মাঠে সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং দলের মধ্যে জয়ের মানসিকতা গড়ে তুলতে পারেন। টিম ম্যানেজমেন্টের দিক থেকেও কোচিং ও কৌশলগত পরিকল্পনার ঘাটতি চোখে পড়েছে বলে অভিজ্ঞরা মত দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভবিষ্যৎ এখনই নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। তরুণ প্রতিভাদের উপযুক্তভাবে গড়ে তোলা, অধিনায়ক নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট নীতি গ্রহণ এবং শক্তিশালী ব্যাকআপ স্কোয়াড গঠন এখন সময়ের দাবি। বিসিবি চাইলে আগামী বিশ্বকাপের আগেই একটি নতুন ও দৃঢ় নেতৃত্বে দলকে ঢেলে সাজাতে পারে।
করণীয় কী হতে পারে?
নেতৃত্ব পুনর্বিবেচনা
বর্তমান অধিনায়কের পারফরম্যান্স ও দল পরিচালনার দক্ষতা পর্যালোচনা করে বিকল্প খোঁজা।
মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা
খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে ক্রীড়া মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ।
বিসিবির হস্তক্ষেপ
বোর্ডের উচ্চপর্যায়ে একটি শক্তিশালী টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে আগামী ১২ মাসের রোডম্যাপ নির্ধারণ।
ঘরোয়া ক্রিকেটে নজর
তরুণ ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তুলতে ঘরোয়া ক্রিকেটে বিনিয়োগ ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বর্তমানে এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে আসন্ন বিশ্বকাপে আরও বড় ভরাডুবি অপেক্ষা করতে পারে টাইগারদের জন্য।
নেতৃত্বের পরিবর্তনই কি সমাধান? নাকি প্রয়োজন গোটা ক্রিকেট কাঠামোর সংস্কার? প্রশ্নটি এখন কোটি টাকার।
ইএইচ