চামেলী, এ প্রজন্মের সংগীতে বুঁদ হয়ে থাকা একজন সংগীতশিল্পী। গান ছাড়া জীবনে যেন আর কোনো কিছু নিয়ে তার ভাবনা নেই। তাই গানের মধ্যেই সারাক্ষণ ডুবে থাকতে পছন্দ করেন তিনি। বাংলাদেশে তার সবচেয়ে প্রিয় শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন।
তবে গানে পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে তিনি ফলো করেন সুনিধি চৌহানকে। মঞ্চে যখন গান গাইতে ওঠেন, তখন তার কথাই মাথায় থাকে বেশি। যে কারণে নিজেকে সুনিধি ঘরানার একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে গড়ে তোলারই স্বপ্ন তার। চামেলীর বাবা-মা নেই। তাই জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার পথটাপও যে খুব বেশি সুগম, এমনটা নয়। অনেক কষ্ট করতে হয় তাকে।
নেত্রকোনার মেয়ে চামেলীর গান নিয়েই স্বপ্ন। যে কারণে নিজেকে ছোটবেলা থেকেই গানের ঠিকঠাকভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। গানে তার হাতেখড়ি ভারতের কেশব ঘোঘের হাত ধরে। তিনি ভারত থেকে নরসিংদী আসতেন। এরপর ঢাকায় এসে চামেলী বাফায় গান শিখেছেন।
এছাড়াও আরও কয়েকজন ওস্তাদের কাছে গানে তালিম নিয়েছেন তিনি। চামেলীর ভাষ্যমতে তিনি আজীবন গানে নিজেকে চর্চায় রাখতে চান। গানে সত্যিকারের শিক্ষা গ্রহণ করে পরিপূর্ণ একজন শিল্পী হতে চান। এরই মধ্যে চামেলীর প্রথম মৌলিক গান জয় মুহাম্মদের কথা ও সুরে ‘মন কান্দে’ প্রকাশিত হয়েছে। আরও নতুন নতুন গানের কাজ চলছে। সে গানগুলো শিগগিরই প্রকাশ পাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি গানে নিজেকে যথাযথ শিক্ষায় গড়ে তোলাটাই তার মূল স্বপ্ন।
চামেলী বলেন, ‘কোনোকিছু নিয়েই অনেক বড় স্বপ্ন নেই আমার। কিন্তু নিজেকে গানের ভুবনে একজন সত্যিকারের সংগীতশিল্পী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। জানি অনেক কষ্ট হবে, শ্রম দিতে হবে। কিন্তু গানের জন্য তা আমি করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত। সবার সহযোগিতায় গানে নিজেকে অনেক দূর নিয়ে যেতে চাই।’ আমার ভাই-বোনেরা আমাকে সহযোগিতা করে আসছেন। বাকীটা আমার নিজের চেষ্টা। আমার বিশ্বাস একদিন আমি নিজেকে সত্যিকারের সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।’
চামেলী জানান স্টেজ শো’র মৌসুমে তিনি নিয়মিত শো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। গেলো ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহ’র মৃত্যুবার্ষিকীতে তিনি ঢাকার রেডিসন হোটেলে একটি শো’তে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। বাংলা গানের প্রসারে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান সবসময়।