বাধার বাঁধ ভেঙে জনসমুদ্র বরিশাল

আবদুর রহিম ও আরিফ হোসেন প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২, ০১:৩০ এএম

সমাবেশের তিন দিন আগ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল বরিশাল। সড়কপথ-নদীপথ সবই ছিল কারফিউ দৃশ্য। চলেনি কোনো গাড়ি! পথে পথে ছিল আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা। অনেক জায়গায় হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এ পরিস্থিতিতে বিএনপির ২০ কর্মী কীর্তনখোলা নদী সাঁতরে সমাবেশে যোগ দেন। কয়েকজন প্রতিবন্ধী হামাগুঁড়ি দিয়েও এসেছেন। হুইল চেয়ারেও এসেছেন অনেকে। হেঁটে সমাবেশে আসেন কয়েক নেতাকর্মী। সাইকেল র‌্যালিতে যোগ দেয় কয়েক হাজার মানুষ। ড্রামে করে কাফনের কাপড় পরে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও অনেকে এসেছেন।

বিএনপির আলোচিত তরুণ নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা-ভাঙচুর করে অনেক নেতাকে রক্তাক্ত করা হয়। এমন বাধা পেরিয়ে বরিশাল ঢুকেও মেলেনি খাবার। অজানা কারণে বন্ধ রাখা হয় খাবার হোটেল। নিজ উদ্যোগে খিচুড়ি রান্না করে অনেকে দুই-তিন দিন কাটিয়েছেন। সমাবেশ শুরু হলে বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট সেবাও।

অবশেষে সব বাধার বাঁধ ভেঙে গতকাল জনসমুদ্রে রূপ নেয় সমাবেশস্থল। মিছিলের নগরী হয়ে যায় বরিশাল। অনেকে রঙিন গেঞ্জি ও ক্যাপ পরে দলীয় ও জাতীয় পতাকা নিয়ে শোভাযাত্রা করে জনসভাস্থলে অবস্থান করেন। আগের রাতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মাঠ। বাধার বাঁধ ভাঙার খবর অল্প সময়ে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। দেশ-বিদেশের আন্তর্জাতিক খবরের শিরোনামও হয়ে যায়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হাসিনাকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং সরকারকে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেছেন, ভোটের অধিকার নিয়ে একবার নয়, যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনই ভোট চুরি করে। তারা সন্ত্রাস করবে, চুরি করবে এটি হয় না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট চুরি করে তারা ক্ষমতায় এসেছে। এখন আবার নতুন করে ভোট চুরির ফায়দা আঁটছে। নতুন বুদ্ধি এঁটে নতুন কমিশন দিয়ে আবার কৌশলে ভোট চুরির চিন্তা করছে। কিন্তু এই হাসিনা সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। তাই তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন করতে হবে।

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ আজ বর্গির (লুটতরাজ প্রিয়) রূপ নিয়েছে। এখন উন্নয়ন ছাড়া কিছুই দেখা যায় না! কিন্তু বাস্তবে গেলে কোনো কিছুতেই হাত দেয়া যায় না। এ থেকে আমরা মুক্তি চাই, পরিত্রাণ চাই। আমাদের এই আন্দোলন বিএনপির জন্য নয়; খালেদা জিয়ার জন্য নয়; তারেক রহমানের জন্য নয় কিংবা আমাদের নেতাদের জন্য নয়। এ আন্দোলন জাতি ও দেশের প্রয়োজনে সমগ্র জাতিকে রক্ষা করার জন্য।

তিনি আরো বলেন, এই সরকার দুর্নীতি করেনি এমন একটি জায়গা দেখান। একটি চাকরিও কি তারা দিয়েছে? দিয়েছে তবে সেটি আওয়ামী লীগের ছেলেদের। ২০ লাখ টাকা নিয়ে দিয়েছে। বিনাপয়সার সার দেয়ার কথা বলেছে কিন্তু আমাদের সময়ের থেকে তিনগুণ দেশি দামে সার দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার হামলা আর মামলা করছে। ভোলায় লঞ্চে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধেই আবার মামলা দিয়েছে। এখন দেশে কেউ নিরাপদ নয়। এ সময় খালেদা জিয়া বরিশালকে বিভাগ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আমাদের সামনে কঠোর আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই। গণঅভুত্থানে নিশিরাতের এ সরকারকে বিদায় জানাতে হবে। আমারা দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফেরাতে চাই। যার ফায়সালা হবে রাজপথে। সড়ক ও নৌপথের সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করার পরও বরিশালের বিভাগীয় সমাবেশ আজ গণসমাবেশে রূপ নিয়েছে। সরকার যখন বুঝতে পেরেছে জনতার ঢল ঠেকানো যাবে না। তখন শুধু ভয় দেখিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তারা সারা দেশের সাথে বরিশালকে বিচ্ছিন্ন করে দুদিনের ‘হরতাল’ ডেকেছে। অনতিবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের প্রধান বক্তা বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা যে এত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে জনসমাবেশকে জনসমুদ্রে রূপ দিয়েছেন তাতেই প্রমাণ হয়েছে— বিএনপির প্রতি, খালেদা জিয়ার প্রতি, দেশের প্রতি আপনাদের ভালোবাসা কতটা। তিনি বরিশাল নগরীকে জনসভার শহর, মিছিলের শহর বলে মন্তব্য করে বলেন, এখানে এসে দেখলাম ফোনে কথা বলতে পারছি না। ইন্টারনেট বন্ধ। তাই লাইভ টেলিকাস্ট নেই।

রাজপথ ও নৌপথ বন্ধ। তারপরও আজ গোটা বরিশাল শহর জনসভার শহর, মিছিলের শহর। তাহলে সব বন্ধ করে কি লাভ হলো। সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে বরিশালে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো। তিনি আরও বলেন, এ সরকারকে বিদায় জানাতে হবে ভোটের মাধ্যমে। না হলে দেশের আর কিছু বাকি থাকবে না। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়, ইভিএমে নির্বাচন নয়। ১৫ বছর আগে আমার যে ভাই ভোটার হয়েছে সে বলতে পারবে না ভোট কেমন।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বরিশালের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন কাকে বলে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দুর্বিষহ করেছে আওয়ামী লীগ। এ দেশে শিক্ষা নেই, সততা নেই। সরকারের যারা আছে মিথ্যা ছাড়া কিছু বলে না। আওয়ামী লীগ যা বলে তা করে না আর যা করে তা বলে না। সুস্থ রাজনীতি নেই, ব্যাংকে টাকা নেই। এই যে মিডিয়াগুলো আছে, আমাদের বক্তব্যগুলো এডিট করে প্রচার করবে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই।

সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম ডা. জাহিদ হাসান বলেন, বিরোধী দল হরতাল কিংবা অবরোধের ডাক দেয়; কিন্তু নিশিরাতের শেখ হাসিনার সরকার নিজেই হরতাল ডেকে নিজেদের বন্দি করেছে। যার মাধ্যমে প্রমাণ করে দিয়েছে এই সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছে, বিদ্যুতে দুর্নীতি করেছে, তদন্ত কমিশন গঠন করে সব দুর্নীতিবাজদের খুঁজে বের করে উৎখাত করা হবে। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মামলা প্রত্যাহার ও নেতাদের মুক্তি না দিলে আওয়ামী লীগ নেতারা পালাবার পথও খুঁজে পাবেন না।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে একজন পরারষ্ট্রমন্ত্রী আছেন। তিনি ভারতে গিয়ে এই সরকারকে বহাল রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তারা এই দেশের মানুষের জন্য ভালো কোনো কাজ করছে না। দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো খেয়াল নেই। মানুষ কষ্টে আছে, না খেয়ে আছে তার কোনো খোঁজ রাখে না। অথচ ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশে গিয়ে ধরনা দিচ্ছে।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেছেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পালিয়ে যাননি, বরিশালের মানুষ বিএনপিকে বিশ্বাস করে, যার প্রমাণ এই মহাসমাবেশ। মহাসমাবেশে জনসমুদ্র প্রমাণ করেছে বরিশাল বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ঘাঁটি, ধানের শীষের ঘাঁটি। বিভাগীয় গণসমাবেশে বক্তব্যে তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ধানের শীষের এই বরিশালে আপনার মামাতো-ফুফাতো ভাইদের দিয়ে কিছু হবে না। তাদের মতো আমরা রাতের আঁধারে পালিয়ে যাবো না। এই মহাসমাবেশ দেখুন, পায়ে হেঁটে মানুষ চলে এসেছে। এখন কী করবেন, বাধা দিয়ে তো কোনো লাভ হলো না।

কলার ভেলায় নদী পারাপার : নগরী আর উপজেলাকে বিচ্ছিন্ন করেছে কীর্তনখোলা নদী। বরিশালের নৌবন্দরের পাশে চরকাউয়া পয়েন্টে খেয়াই যাতায়াতের সহজ মাধ্যম। সেই খেয়া পারাপার শুক্রবার থেকে বন্ধ রয়েছে। তাই কীর্তনখোলার ওপারের ইউনিয়নগুলোর সাথে শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। বিএনপির নেতকর্মীরা শনিবার সকালে সেই নদী সাঁতরে সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন, এমনটাই দেখা গেছে। প্রায় ৩০ মিনিট সাঁতরে তারা কীর্তনখোলা নদী পাড়ি দিয়ে সমাবেশস্থলে এসেছেন। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ছাত্রদল নেতা সবুজ তালুকদার। এ ছাড়াও একাধিক কলার ভেলায় অসংখ্য নেতাকর্মীরা নদী পাড়ি দিয়েছেন।

কাফনের কাপড় জড়িয়ে সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীরা : বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের নেতৃত্বে কাফনের কাপড় পরে মিছিলে যোগদান করেছেন নেতাকর্মীরা। এ ছাড়াও হুইল চেয়ারে সমাবেশস্থলে আসেন সদর উপজেলার বিএনপির কয়েকজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। কাফনের কাপড় পরে আসা মিছিলের নেতৃত্ব দেয়া বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে এসেছেন। সরকারের কোনো বাধাই কাজে আসেনি। নেতাকর্মীরা গুম ও খুনের প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে এ সমাবেশে এসেছেন।

সমাবেশে আসার পথে মৃত্যু : বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে আসার পথে বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের বিষখালী নদীতে শুক্রবার রাতে বরিশালগামী একটি ট্রলার থেকে লাফ দিয়ে আরেকটি ট্রলারে যাওয়ার সময় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ছগির খান (৩০) নামের এক বিএনপি কর্মী মারা গেছেন। তিনি নলটোনা ইউনিয়নের মোস্তাকপুর বাজারে ইলেকট্রিক ও মোবাইল সার্ভিসিং করতেন। ছগিরের চাচা পলাশ খান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত ছগিরকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ড্রামে নদী পার : বরিশালে সব ধরনের যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকায় বিভিন্ন পন্থায় বিএনপির সমাবেশস্থলে এসেছেন নেতাকর্মীরা। কেউ নৌকায়, আবার কেউ ট্রলারে চেপে বরিশাল এসেছেন। আবার কেউবা ড্রামের ভেলায়ও নদী পারপার হয়েছেন। দুপুরে ড্রামের ওপর ভেসে নেতাকর্মীদের নগরীর  মুক্তিযোদ্ধা পার্ক সংলগ্ন নদীতে ট্রলার থেকে তীরে, আবার তীর থেকে ট্রলারে উঠতে দেখা গেছে।

মোটরসাইকেল ভাঙচুর : সমাবেশে যোগদান করতে আসা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর শুক্রবার সন্ধ্যায় হামলা চালিয়ে তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য শাহজাহান খানসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের গাবুয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মহাসড়কে হামলার ঘটনা ঘটে। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার বলেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে পথরোধ করে এ হামলা করেছে।

রাতেই কানায় কানায় পূর্ণ : সমাবেশের আগের রাতেই (শুক্রবার) কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান। গত ৩ নভেম্বর রাতের মতো শুক্রবার রাতেও নেতাকর্মীরা সমাবেশের মাঠে অবস্থান করেছেন। রাতভর দফায় দফায় মিছিল ও স্লোগান দিয়ে নেতাকর্মীরা সরগরম করে রাখেন সমাবেশস্থল।

ইন্টারনেট সেবা বন্ধ : অনিবার্য কারণে বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশ শুরুর আগেই নগরীতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছেন গ্রাহকরা। বরিশালের গণমাধ্যমকর্মী জানিয়েছেন, সকাল থেকে তারা মোবাইলের ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করতে পারছেন না। ফলে কোনো ছবিও ঢাকার অফিসে পাঠাতে পারেননি। দুপুরে ব্রডব্যান্ডের ইন্টারনেট সেবা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছবি পাঠাতে হয়েছে, তবে তাতেও ছিল ধীরগতি। এ বিষয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

হাতে বাঁশ ও লাঠি নিয়ে সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীরা : নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানের বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশে যোগদানের জন্য গতকাল সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়ক হয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। সমাবেশস্থলে যাওয়া মিছিল, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস বহরে নেতাকর্মীদের হাতে কাঠ ও বাঁশের লাঠির উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কেউ হেঁটে, কেউ ভ্যানে চড়ে, কেউ রিকশায় চড়ে আবার কেউ মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন মিছিলে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকায় ব্যবহার করা হয়েছে লম্বা লাঠি ও বাঁশের কঞ্চি। মিছিলের বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও পতাকার সাথে বাধা হয়েছে বেশ লম্বা লাঠি।