সুদ সব সময়ের জন্যই নিষিদ্ধ

ধর্ম ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৩, ১১:৪৭ এএম

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুদ থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। যারা জড়িত তাদের সুদমুক্ত হওয়ার তাওফিক দান করুন

দুনিয়ায় সবচেয়ে লোভনীয় জিনিসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারাত্মক হচ্ছে সুদ। আল্লাহ তায়ালা সুদকে নিষিদ্ধ করেছেন। আর আল্লাহর আনুগত্য করার প্রতি জোর দিয়েছেন। কুরআনুল কারিমে সুদ খেতে নিষেধ করা হয়েছে। তাহলে যদি চক্রবৃদ্ধি হারে না হয়, তবে কি তা খাওয়া জায়েজ? সুদ কম হোক আর বেশি হোক; ব্যক্তি বিশেষের কাছ থেকে হোক অথবা কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে হোক; তা সর্বাবস্থায়ই হারাম। সুদ হারাম হওয়ার জন্য চক্রবৃদ্ধি হারে খাওয়া শর্ত নয়। যেভাবে যে পরিমাণেই হোক কোনোভাবেই সুদ খাওয়া যাবে না। 

আল্লাহ তায়ালা কোরআনুল কারিমে সুদ খেতে নিষেধ করেছেন এবং জাহান্নামের আগুনকে ভয় করার কথা বলেছেন। সুদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন— হে বিশ্বাসীরা! তোমরা ক্রমবর্ধমান হারে (দ্বিগুণ-চারগুণ বা চক্রবৃদ্ধি হারে) সুদ খেয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় কর, তাহলে তোমরা সফলকাম হতে পারবে। আর তোমরা সেই আগুনকে ভয় কর, যা অবিশ্বাসীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৩০-১৩১) 

হজরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেছেন, আমর ইবনে আকইয়াশের জাহেলি যুগের কিছু সুদের কারবার ছিল; সে তা উসুল করা জন্য ইসলাম গ্রহণ থেকে বিরত ছিল। তারপর যখন উহুদ যুদ্ধের দিন আসল, সে জিজ্ঞাসা করল, আমার চাচাত ভাই অমুক কোথায়? 

লোকেরা বলতো উহুদের প্রান্তরে; আবার জিজ্ঞাসা করত- অমুক কোথায়? তারা বলত উহুদের প্রান্তরে; আবার জিজ্ঞাসা করত- অমুক কোথায়? লোকেরা বলত— সেও উহুদের প্রান্তরে। এতে সে তার যুদ্ধাস্ত্র পরে নিয়ে উহুদের উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়ে। মুসলিমরা যখন তাকে দেখল তখন তারা বলল, আমর! তুমি আমাদের থেকে দূরে থাক। কিন্তু সে জবাব দিল- আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি। তারপর সে যুদ্ধ করে আহত হলো। তাকে তার পরিবারের কাছে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হলো।