ভারতজুড়ে সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি

তিন রাজ্যে ফিরল করোনাবিধি

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৩, ১১:৫৫ এএম

ভারতের বেশিরভাগ অংশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কয়েকটি রাজ্য আবার মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া একটি পর্যালোচনা সভা শেষে রাজ্যগুলোকে সতর্ক থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেছেন।

এনডিটিভির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রতিক স্পাইক মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত। আইসিইউ শয্যা, অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে হাসপাতালগুলোতে।’ ভারতে সবশেষ করোনা ভাইরাসের বিএফ.৭ ধরনের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। এটি ওমিক্রনের একটি উপ-ধরন। বর্তমানে ওমিক্রনের আরেকটি উপ-ধরন এক্সবিবি ১.১৬ এর কারণে সংক্রমণ বাড়ছে। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি, মন্ত্রণালয়ের অভিজ্ঞতায় সাব-ভেরিয়েন্টগুলো খুব বেশি বিপজ্জনক নয়। সরকারি হিসাবে, ভারতে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩১ হাজার ১৯৪ জন। শনিবার মৃত্যু হয়েছে ১১ জন কোভিড রোগীর। গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ৩৫৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

হরিয়ানা : হরিয়ানা সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জনসমাগম স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। জনসাধারণকে কোভিডবিধি যথাযথ পালনের আহ্বান জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ। এগুলো নিশ্চিতে জেলা প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কেরালা : গর্ভবতী নারী, বয়স্ক এবং বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তদের জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে কেরালা প্রশাসন। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের পর বলেন, ‘কোভিড-সম্পর্কিত মৃত্যুর বেশিরভাগই ৬০ বছরের বেশি বয়সি।’ স্বাস্থ্য বিভাগকে অক্সিজেনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, শিগগিরই বেসরকারি হাসপাতালে আরেকটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

পুদুচেরি : জনসমাগম স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে পুদুচেরি প্রশাসন। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, হাসপাতাল, হোটেল, রেস্তোরাঁ, মদের দোকান, বিনোদন সেক্টর, সরকারি অফিস এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে।

উত্তর প্রদেশ : উত্তর প্রদেশ সরকার একটি ‘উচ্চ-অগ্রাধিকার’ নির্দেশিকা জারি করেছে। রাজ্যের সব বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের স্ক্রিনিং নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এক আদেশে বলা হয়, পরীক্ষা করা সব নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো উচিত।

দিল্লি : দিল্লির হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডিসপেনসারিগুলোকে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসটির নতুন এক্সবিবি১.১৬ রূপটি রাজধানীতে ব্যাপক তাণ্ডব চালাচ্ছে। তারপরও তারা বলছেন, জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। কোভিড নিয়মগুলো মেনে চলার পাশাপাশি ভ্যাকসিনের বুস্টার শট নেয়া উচিত সবার।