আরও ৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি জাফর আলম

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২৫, ০১:১৭ পিএম

চকরিয়া থানার ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে নতুন করে পেকুয়া থানার দুই মামলায় চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে তাঁকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে পেকুয়া থানায় স্থানান্তর করা হয়।

গত ১৮ জুন চকরিয়ার আদালত চকরিয়া থানার পাঁচটি ও পেকুয়া থানার দুটি মামলায় জাফর আলমের মোট ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে চকরিয়া থানার মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। আজ থেকে পেকুয়ার মামলায় নতুন করে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তাঁকে।

জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘সাবেক এমপিকে পেকুয়া থানায় স্থানান্তরের সময় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।’ তবে প্রশাসনের একাধিক সূত্র বলছে, শুরুতে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে তাঁকে পেকুয়ায় না নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। পরে হঠাৎ করেই সেই সিদ্ধান্ত বদলে যায়।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও সতর্ক করা হয়েছিল যে, জাফর আলমকে পেকুয়া থানায় নেওয়া হলে স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় থানার দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনার সম্ভাবনা।

পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৬৯ বছর বয়সী জাফর আলম গুরুতর অসুস্থ। তিনি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং পিত্তথলি অপসারণের পরবর্তী জটিলতায় ভুগছেন। এ অবস্থায় টানা ১৮ দিনের রিমান্ড অমানবিক ও নজিরবিহীন বলে দাবি করেছে পরিবার।

তাঁদের অভিযোগ, ‘একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার ইঙ্গিতে আদালত ও প্রশাসন বিবেকবর্জিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ 

পরিবার আরও দাবি করে, পেকুয়া থানার দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে বিএনপি ও যুবদলের দুজন স্থানীয় নেতা থানায় ঢুকে মব সন্ত্রাস চালানোর পরিকল্পনা করেছে। ওই থানাটি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বাড়ির কাছাকাছি হওয়াটাও নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি করেছে।

এছাড়া পেকুয়ায় উন্নত চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় জাফর আলমের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবার।

বিআরইউ