দিনভর ভোটগ্রহণ আজ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৪, ১২:০৩ এএম

গত শুক্রবার রাতে ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনায় প্রাণহানি এবং বিভিন্ন জেলার ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাধারণ ভোটারের মধ্যে কিছুটা শঙ্কা কাজ করছে। গতকাল বিভিন্ন গণপরিবহন চললেও ছিল যাত্রী সংকট। যারা লোকাল বাসের যাত্রী তাদের মধ্যেও কিছুটা আতঙ্ক লক্ষ্য করা গেছে। আর এই শঙ্কা ও আতঙ্কের মধ্যেই আজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

গতকাল সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ভোটারদের নির্ভয়ে কেন্দ্রে এসে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা প্রার্থীরা ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ভোটের মাঠে রয়েছেন। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণে মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা। সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হবে ভোটগ্রহণ। ৪টার পর গণনা শুরু হবে এবং পর্যায়ক্রমে ঘোষণা করা হবে ফলাফল।  

নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় বিধি অনুযায়ী সেই আসনের ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই হিসেবে রাত পোহালেই ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে। নির্বাচনের প্রচার শেষ হয়েছে গত শুক্রবার সকালেই। ভোটারদের মধ্যে কারা ভোট দিতে যাবেন, যারা যাবেন তারা কাকে ভোট দেবেন তা ইতোমধ্যে ঠিক করে ফেলেছেন তারা। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ভোটে নেই এবং তাদের মিত্ররাও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ফলে এবারের নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগেই সাধারণ মানুষ আন্দাজ করতে পারছেন কারা জয়ী হবেন। তবুও এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। ভোটে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আশা— ভোট সুষ্ঠু হলে তারা বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন। তবে প্রকৃতপক্ষে ফলাফল কি হবে তা নিশ্চিত হতে আজ রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। 

এবারের ভোটে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগকে ২৬টি আসনে সমঝোতা করতে হয়েছে। ফলে সমঝোতা করা ওই ২৬টি আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নেই। অবশ্য এসব আসনগুলোর অনেক আসনেই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চ্যালেঞ্জর মধ্যে ফেলেছেন জাপা প্রার্থীদের। এ ছাড়া ১৪ দলের তিনটি দলকে ছেড়ে দেয়া ছয়টি আসনেও আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে বেশ শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। সবকটি আসনে তাদের জয় গত নির্বাচনের মতো সহজ নাও হতে পারে বলে অভিমত স্থানীয় ভোটারদের। দল থেকে কোনো বাধা না থাকায় নৌকার মনোনয়ন না পাওয়া অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। কোনো কোনো আসনে তিন-চারজনও প্রার্থী হয়েছেন। এসব আসনে নৌকার মাঝিরা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। জানা গেছে, ৬৪ জেলার খবর নিয়ে জানা গেছে ১০১টি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসনে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৮টি, বরিশালে ছয়টি, চট্টগ্রামে ১৬টি, সিলেটে আটটি, রাজশাহীতে ২০টি, ময়মনসিংহে আটটি, খুলনায় ১১টি এবং রংপুরে ১৪টি আসন রয়েছে। 

৯ জেলায় ১৩ ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আগের দিন মধ্যরাত থেকে দেশের ৯ জেলায় ১৩টি ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, শরীয়তপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরগুনা জেলার এসব কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া গাজীপুরে নৌকা প্রতীকের দুটি প্রচার কেন্দ্রে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আজ রোববার। এর দুই দিন আগে বৃহস্পতিবার রাজশাহী ও ফেনীর পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুণ্ডু দক্ষিণ ইউনিয়নের গড়াকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে শুক্রবার গভীর রাতে আগুন দেয়া হয়েছে। মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অতীশ চাকমা বলেন, খবর পেয়েই পুলিশ নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। কারা আগুন দিয়েছে, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। টাঙ্গাইল পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কান্দিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকে?ন্দ্রে এক?টি প?রিত?্যক্ত ঘ?রে গতকাল সকাল ৬টায় আগুন দেয়া হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল আনাম জানান, অগ্নিকাণ্ডে ভবনটির একটি দরজা পুরোপুরি ও আরেকটি দরজা আংশিক পুড়ে গেছে। ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় গতকাল ভোরে গফরগাঁও ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পরশীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবং সকাল ৯টার দিকে নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করা হয়। 

শুক্রবার রাতে গাজীপুর মহানগরের ওয়্যারলেস গেট এলাকায় পূর্ব চান্দনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের বাঁশতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শ্রীপুরে গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুমানা আলী এবং নগরীর উত্তর রাজবাড়ি এলাকায় গাজীপুর-২ আসনের নৌকার প্রার্থী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের নির্বাচনি প্রচার কেন্দ্রে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। বরগুনা আমতলী উপজেলায় আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে দুটি পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। গতকাল ভোরে চট্টগ্রামের বন্দর থানার দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ধুপপুল এলাকার নিশ্চিন্তাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আগুন দেয়া হয়। গত শুক্রবার রাতে শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলায় ঘরিষার ইউনিয়নে চরমোহন সুরেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের টিপনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র ভেবে এবং রূপসা উপজেলার বাগমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয়া হয়েছে। 

১৬ ঘণ্টায় দেশে ১৪ অগ্নিসংযোগ : ভোট ঘিরে বিএনপির হরতালের আগের রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ১৬ ঘণ্টায় ১৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয়টি যানবাহন ও ৯টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রাণ গেছে চারজনের। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগের এই হিসাব দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আর এসব ঘটনার অধিকাংশকেই ‘নাশকতা’ বলছে পুলিশ। ফায়ার সার্ভিস শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার মধ্যে একটি বৌদ্ধ মন্দির এবং ভোটকেন্দ্রসহ আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে একটি, নারায়ণগঞ্জ একটি, গাজীপুর সদরে দুটি এবং কালিয়াকৈরে একটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সিলেট বিভাগে দুটি, চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে রামু, ফেনী, সীতাকুণ্ডু এবং চট্টগ্রাম মহানগরীতে একটি করে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ময়মনসিংহ বিভাগের নান্দাইল, গফরগাঁও এবং শেরপুরে একটি করে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আগুনে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের চারটি বগি, দুটি পিকআপ, একটি ট্রাক ও দুটি কাভার্ডভ্যান পুড়েছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি ইউনিট ও ১৫১ জন জনবল কাজ করেছে।

কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটর করবে আ.লীগ : ভোটের দিন সকাল থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন মনিটর করবে ক্ষমতাসীনরা। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতিতে নজর রাখার পাশাপাশি দলীয় প্রার্থী এবং দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবেন তারা। দেবেন প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা। একই সঙ্গে নির্বাচনে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যেন ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে, সে বিষয়েও কঠোর অবস্থানে দলটি। গত শুক্রবার সংবাদ ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৭ জানুয়ারি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়া হবে। 

ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেবেন শেখ হাসিনা : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত দুইবারের মতো এবারও গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচন করছেন। কিন্তু তিনি গোপালগঞ্জে গিয়ে ভোট দিতে পারছেন না। ঢাকা-১০ আসন ধানমন্ডির ভোটার হিসেবে তিনি ভোট দেবেন ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৮টায় ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেবেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই কেন্দ্রে ভোট দেবেন ছোট বোন শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনার একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। 

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার প্রায় ১২ কোটি ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী এক হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৩৬ জন। গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সেই অনুযায়ী ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা প্রচার শুরু করেন, যা শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শেষ হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে ছয় কোটি সাত লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ আর পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। ৪২ হাজার ১০৩টি কেন্দ্রে ভোটকক্ষ থাকবে দুই লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সংখ্যা ২৬৬। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির ২৬৫ জন, তৃণমূল বিএনপির ১৩৫ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৬ জন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ৫৬ জন। তবে ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্রসহ শতাধিক প্রার্থী ভোটের মাঠ ছেড়ে দিয়েছেন। 

৭২ ঘণ্টা মোটরসাইকেল ও ২৪ ঘণ্টা সর্বসাধারণের যান চলাচলের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ সময় কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসনের সদস্য ও অনুমোদিত পর্যবেক্ষক, জরুরি সেবার যানবাহন, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অভিন্ন কাজে ব্যবহূত জিনিসপত্র এবং সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন, দূরপাল্লার যানবাহন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের এজেন্টদের ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, জাতীয় মহাসড়ক, প্রধান আন্তঃজেলা রুট, মহাসড়ক এবং প্রধান মহাসড়কের সংযোগ সড়কের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে।

নির্বাচন কমিশন ১৮৬ জন পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিককে অনুমোদন দিয়েছে। তাদের মধ্যে ১২৭ জন পর্যবেক্ষক আর ৫৯ জন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কর্মী। এ ছাড়া নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশি ২০ হাজার ৭৭৩ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দিয়েছে ইসি। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ৫১৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৮৪টি পর্যবেক্ষণ সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবে। এবারের নির্বাচনে ব্যয় হচ্ছে প্রায় দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এ নির্বাচনে আসনপ্রতি সাত কোটি টাকার বেশি ব্যয় করবে ইসি। এ ব্যয়ের তিন ভাগের দুই ভাগ রাখা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য।