বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়

বহুমুখী চ্যালেঞ্জের বাজেট পেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৫, ১২:০৮ এএম

উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, বিপর্যস্ত আর্থিক খাত সংস্কার ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবারের বাজেটে। 

গতকাল সোমবার দুপুরে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ টেলিভিশনে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ প্রস্তাবিত এ বাজেট ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটও উপস্থাপন করেন তিনি। এছাড়া প্রস্তাবিত ‘অর্থ অধ্যাদেশ ২০২৫’ প্রকাশ করা হয়েছে। এবারের বাজেট বক্তৃতার শিরোনাম হচ্ছে- ‘বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়’। 

প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত এপ্রিলে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতির হার ৮ শতাংশে নেমে আসবে বলে অর্থ উপদেষ্টা তার বাজেট বক্তৃতায় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রস্তাবিত বাজেটে নানা ধরনের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা। 

অন্যদিকে রাজস্ব আয়ের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রস্তাবিত বাজেটে করভিত্তি সম্প্রসারণ, করহার বাড়ানো, কর হার পুনর্বিন্যাস, ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি এবং সরকারি সেবা ব্যয় ও মাশুল বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া বাজেটে কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিল্পায়ন, বিনিয়োগ আকর্ষণ ও এলডিসি-উত্তর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

বাজেটের আকার : বাজেট ঘোষণার আগে এবারের বাজেট ‘বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য’ হবে বলে অর্থ উপদেষ্টা বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আগামী বাজেটটা আমরা মোটামুটি বাস্তবায়ন করব, বিরাট একটা গ্যাপ নিয়ে করব না। ব্যাংক থেকে ধার করে কিংবা টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করব না। তবে কিছুটা তো ডেফিসিট (ঘাটতি) থাকবে। নতুন বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকারও অত্যন্ত বাস্তবভিত্তিক হবে।’ এ কারণে প্রথমবারের মতো আগামী বাজেটের আকার চলতি বাজেটের তুলনায় কমছে। 

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় টাকার অঙ্কে বাজেটের আকার কমছে সাত হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

রাজস্ব আদায় : প্রস্তাবিত বাজেটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অর্থায়ন তথা রাজস্ব আদায়। বর্তমানে বাংলাদেশের কর-জিডিপির অনুপাত ৮ শতাংশের নিচে রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট প্রাপ্তি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৯ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৯ হাজার কোটি টাকা বেশি। এছাড়া এনবিআর-বহির্ভূত কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৯ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তির (এনটিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। 

এর বাইরে বৈদেশিক অনুদানের প্রত্যাশা করা হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটে মোট রাজস্ব প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এটি কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে। এছাড়া এনবিআর-বহির্ভূত কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তির (এনটিআর) লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে বৈদেশিক অনুদানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

বাজেট ঘাটতি ও অর্থায়ন :  প্রস্তাবিত বাজেটে অনুদান ব্যতীত সার্বিক ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এটি ছিল জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। বাজেট ঘাটতি পূরণে আগামী বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নীট ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা এবং ব্যাংক-বহির্ভূত খাতের মধ্যে সঞ্চয়পত্র খাত থেকে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ও অন্যান্য খাত থেকে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হবে।

অন্যদিকে বৈদেশিক উৎস থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ৩৯ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হবে। সেক্ষেত্রে নীট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯৬ হাজার কোটি টাকা। পাঁচ হাজার কোটি টাকা অনুদানসহ মোট ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা। 

বাজেট ঘাটতি পূরণে বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। বিদায়ী অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নীট ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা (এর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৭২ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা ও স্বল্পমেয়াদি ঋণ ৬৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা) এবং ব্যাংক-বহির্ভূত খাতের মধ্যে সঞ্চয়পত্র খাত থেকে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ও অন্যান্য খাত থেকে আট হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

ঋণ ও সুদ পরিশোধ :  আগামী অর্থবছরের দেশি-বিদেশি ঋণ ও ঋণের সুদ বাবদ মোট ১ লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকা পরিশোধের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণ ও ঋণের সুদ বাবদ যথাক্রমে ১৬ হাজার কোটি টাকা এবং ১ লাখ কোটি টাকা পরিশোধ করা হবে। অন্যদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে আগামী অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ ২২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করা হবে। চলতি অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ ঋণ বাবদ ১৫ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা এবং ঋণের সুদ বাবদ ৯৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধ দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে বিদায়ী অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ৩৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধ দেখানো হয়েছে।

পরিচালন/অনুন্নয়ন ব্যয় :  প্রতিবারের মতো এবারও বাজেটে পরিচালনা ও অন্যান্য খাতে (অনুন্নয়ন) ব্যয় বাড়ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এসব খাতে মোট ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে এ খাতে ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। প্রস্তাবিত বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধে ১ লাখ কোটি টাকা (চলতি অর্থবছরে এ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৩ হাজার কোটি টাকা) এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে ২২ হাজার টাকা (চলতি অর্থবছরে এ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা); মূলধনী খাতে ৩৬ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা (চলতি অর্থবছরে এ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা); খাদ্য হিসাবে ৬৮৩ কোটি টাকা (চলতি অর্থবছরে এ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১৯ কোটি টাকা) এবং ঋণ ও অগ্রিম খাতে ৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা (চলতি অর্থবছরে এ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা) ব্যয় করা হবে।

উন্নয়ন ব্যয়/বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) :  প্রস্তাবিত বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

প্রাথমিক শিক্ষায় বরাদ্দ কমল প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি : প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) চেয়ে এ খাতে ৩ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ কমানো হয়েছে। এ নিয়ে হতাশ খাতসংশ্লিষ্টরা। প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩৫ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত অর্থবছর (২০২৪-২৫) এ খাতে প্রস্তাবিত বরাদ্দ ছিল ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বরাদ্দ কমেছে ৩ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা। যদিও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় বাজেট কমিয়ে ৩৫ হাজার ১২৩ কোটি টাকা করা হয়। 

প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯৫ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা। গত অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৯৪ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে ৯৩৫ কোটি টাকা। অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত কয়েক বছর ধারাবাহিকভাবে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ভর্তি বেড়েছে। এ খাত দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল। ফলে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারির সবশেষ ২০২৩ সালের তথ্যমতে, প্রাথমিক স্তরের (প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত) শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ৬৮৫ জন। তার আগের বছর ২০২২ সালে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী ছিল ২ কোটি ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯১ জন।

অনলাইনে পণ্য বিক্রিতে ভ্যাট বাড়ছে : অনলাইনে পণ্য বিক্রয় কমিশনের ওপর ভ্যাটের হার বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অনলাইনে পণ্য বিক্রয় কমিশনের ওপর ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে অনলাইনে কেনাকাটায় খরচ বাড়বে বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে অনুমোদন দিয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটের মধ্যে রাজস্ব বাজেটের আকার ৫ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। চলতি বাজেটের তুলনায় আগামী বাজেট সাত হাজার কোটি টাকা কম। এবারই প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার কমছে।

তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল : আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার ১০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। এছাড়া আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সারা দেশে সফল যুব উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণের সিলিং বৃদ্ধি করে ৫ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। 

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘যুব সমাজের অমিত শক্তি ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ যুবশক্তি গড়ে তোলা এবং তাদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’ 

তিনি বলেন, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সারা দেশে সফল যুব উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণের সিলিং বৃদ্ধি করে ৫ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া, তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করার প্রস্তাব করছি। তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য এমন তহবিল এবারই প্রথম। তিনি আরও বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্যও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তরুণ-যুবাদের দেশের উন্নয়নে আরও গভীরভাবে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরে ‘তারুণ্যের উৎসব’ উদযাপনের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছি।