Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

বাঙালির অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০, ০৩:১৫ পিএম


বাঙালির অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর

 

বাঙালিকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী সম্মানিত জাতি হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন জাতি হিসেবে বাঙালি জাতিকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার সাথে সাথে সারা বিশ্বে সম্মানিত জাতি হিসেবে আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার শুধুমাত্র দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিচ্ছে না, সেই সাথে তারা প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, সরকার বিভিন্ন ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি, ইন্টারনেট সেবা ও মোবাইল ফোন ব্যবহার নিশ্চিত করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ উপমহাদেশের একমাত্র দেশ যার সৃষ্টি হয়েছে ভাষার ভিত্তিতে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশ প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ১৯৪৮ সাল থেকে আন্দোলন শুরু করেন। এ আন্দোলনের চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল দেশকে পাকিস্তানিদের কাছ থেকে আলাদা করা।

সভায় শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় এক দশক ক্ষমতায় থাকার ফলে বিশ্বে বাংলাদেশ একটা মর্যাদা পেয়েছে। আমাদেরকে বিভিন্ন স্থানে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। এক সময় সকলেই আমাদের অবহেলার চোখে দেখতো। বাংলাদেশ নাম শুনলেই বলে উঠতো-ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দরিদ্রের দেশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল্লাহর রহমতে আর কেউ তা বলতে পারবেনা। আমরা ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছি ২০২১ সালের মধ্যেই প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলবে। আর একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী যে যেখানেই আছেন, যে যার মতো পারেন সহযোগিতা করবেন যেন বাংলাদেশের একটা মানুষও আর গৃহহীন না থাকে।

তিনি বলেন, প্রতিটি গ্রামে খোঁজ নিতে বলেছি। নদী ভাঙ্গনে যারা ঘর-বাড়ি হারিয়েছে তাদেরকে আমরা ঘর করে দেব। আর যারা ভূমিহীন, গৃহহীন প্রত্যেককেই আমরা ঘর-বাড়ি করে দেব। প্রত্যেকটি মানুষের একটা ঠিকানা হবে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ভাষা আন্দোলনে যারা রক্ত দিয়ে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছিল আর যাঁদের পদাংক অনুসরণ করেই আমরা লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সেই ত্যাগ কখনো বৃথা যাবেনা।

দৃপ্ত কন্ঠে সরকার প্রধান বলেন, বৃথা যেতে আমরা দেবনা, এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।

আলোচনা সভার শুরুতেই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ডেনভারের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও লেখক-গবেষক হায়দার আলী খান আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন।

এছাড়াও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জামান কবিতা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানও আবু আহম্মেদ মান্নাফী বক্তৃতা করেন। ভাষা শহিদদের স্মরণে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি তারিক সুজাত। আলোচনা সভা যৌথভাবে পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

আমারসংবাদ/জেআই