Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে মসজিদের জমি দখলের অভিযোগ

আব্দুল কাদের, ধামরাই

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০, ১২:১৩ পিএম


স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে মসজিদের জমি দখলের অভিযোগ

ঢাকার ধামরাইয়ে মসজিদের নামের ওয়াকফকৃত জমি অবৈধভাবে ভোগদখল করার অভিযোগ উঠেছে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই স্কুল শিক্ষকের নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি উপজেলার হাটিপাড়া এলাকার আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন স্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তিনি কৌশলে ও পেশি শক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি ভোগ করে আসছেন বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটি।

জবরদখল করা ওই জমি ছেড়ে দিতে ওই স্কুল শিক্ষককে একাধিকবার মৌখিকভাবে বলার পরও জমির দখল ছাড়ছেন না জাহাঙ্গীর আলম নামের ওই স্কুল শিক্ষক।

এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে গত ২৪/০২/২০২০ ইং তারিখে লিখিত অভিযোগ করেন মালঞ্চ উত্তর পাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি।

সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মালঞ্চ গ্রামের উত্তর পাড়া জামে মসজিদের নামের ৯ শতাংশ জমি ওয়াকফ করে দেন মরহুম হাসান উদ্দিন। নিঃসন্তান জমিদাতা ওই সম্পত্তি তার জীবদ্দশায় মসজিদের পক্ষে দখলে থাকে পরে তার মৃত্যুর পর স্থানীয় স্কুল শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে বাৎসরিক পত্তন দেয় মসজিদ কর্তৃপক্ষ। কয়েক বছর নিয়মিত পত্তন এর টাকা পরিশোধ করলেও বিগত দুই বছর যাবত কোন টাকা পরিশোধ না করলে ওই ৯ শতাংশ জমির দখল বুঝে নেয়ার জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও কোনো সুফল পায়নি এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটি।

জমির দখল বুঝে নিতে গেলেই নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মসজিদ কমিটি ও এলাকারবাসীকে। বিভিন্ন তালবাহানা ও মামলার হুমকি, এমনকি অশালীন আচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ওই স্কুল শিক্ষক।

এ ব্যাপারে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ওয়াকফকৃত ওই জমির কাগজপত্র সহকারে স্থানীয় হিতৈষী মুরুব্বীদের নিয়ে বসার পরে দেখা যায় মসজিদের জমিতে মামলাবাজ স্কুল শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের কোনো জমি নেই। পরে মসজিদের নামের সাইনবোর্ড লাগানো হয়। কিন্তু জাহাঙ্গীর আলম কয়েকদিন পরে ওই সাইনবোর্ড তুলে ফেলে দেন।

মসজিদ কমিটির সাধরণ সম্পাদক মাহবুব আলম জানান, জমি দাতার জীবদ্দশায় স্কুল শিক্ষক জাহাঙ্গীর কোন জমির দাবি না করলেও তার মৃত্যুর দীর্ঘদিন পর ভুয়া দলিলের মাধ্যমে মসজিদের জমি নিজের বলে দাবি করছেন। মূলত নিজের ক্ষমতাবলে মসজিদের জমি জোরদখল করে আছেন।

অভিযুক্ত ওই স্কুল শিক্ষক এলাকার অনেক সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে বলেও জানান মসজিদ কমিটিরসহ সভাপতি মোশারফ হোসেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্কুল শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম কোনো ভাবেই মসজিদের জমি দখল দিচ্ছে না। উল্টো এলাকার সাধারণ মানুষদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে দিনের পর দিন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই স্কুল শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই জমি তিনি ভোগদখল করেন না। এর বেশি কিছু বলতে রাজি হয়নি অভিযুক্ত ওই স্কুল শিক্ষক।

আমারসংবাদ/কেএস