শিলাবৃষ্টিতে আড়াই কোটি টাকার রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি

আকস্মিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে নেত্রকোণার কলমাকান্দায় আড়াই কোটি টাকার রবিশস্যের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক রবিশস্য কৃষক পরিবার।

এ বছর উপজেলায় চাল কুমড়া, মিষ্টি লাউ, বেগুন, টমেটো, মরিচ, পেয়াজ, রসুন ও করলাসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করেছিলেন কৃষকরা। কিন্তু অসময়ের এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। গতকাল রাতে প্রায় আধ ঘণ্টাব্যাপী ঝড়ো হাওয়া, ভারী বৃষ্টিপাত ও শিলাবৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই নষ্ট হয়েছে তাদের আবাদী ফসল। তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন সবজিতে পচন ধরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষক রোকন উদ্দিন বলেন, বাজারে ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় হতাশ হয়ে এবছর অধিক লাভের আশায় আমি প্রায় তিন একর জমিতে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা খরচ করে রবিশস্য চাল কুমড়া, মিষ্টি লাউ, করলাসহ আবাদ করেছি। শিলাবৃষ্টির কারণে আমি এখন পথে বসে গেলাম।

অপর কৃষক ইদ্রিস আলী আক্ষেপ করে বলেন, আমার আশা স্বপ্ন সব শেষ হয়ে গেল রে ভাই আমি এখন কেমনে চলবো।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার ওয়ার্ডের নলছাপ্রা, কুয়ারপুর, বেলুয়াতলি এলাকায় স্থানীয় এমপি মানু মজুমদার এর আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে প্রায় ২৫টি কৃষি পরিবার শতাধিক একরে এ রবিশস্য চাষাবাদ শুরু করেন। আকস্মিক শিলাবৃষ্টিতে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, উপজেলায় শিলাবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নাজিরপুর ইউনিয়নের নলছাপ্রা, কুয়ারপুর, বেলুয়াতলি, রহিমপুর, রামপুরসহ প্রায় ৭০ জন কৃষক।

এছাড়াও লেংগুরা, খারনৈ, রংছাতি ও কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নে রবিশস্য কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে প্রায় ৫০০ একর রবিশস্য ফলন বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক পরিবার। ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মাঠে জরিপের কাজ চলছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল খালেক তালুকদার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহেল রানা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদেরকে সহায়তা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।

আমারসংবাদ/কেএস