Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪,

যমুনা চরে একমাত্র ভরসা ঘোড়ার গাড়ি

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

মার্চ ৬, ২০২০, ০৬:০৬ এএম


যমুনা চরে একমাত্র ভরসা ঘোড়ার গাড়ি

যমুনা নদী শুকিয়ে চারিদিকে এখন ধু ধু বালু চর। যেদিকে দু’চোখ যায় বালু আর বালু। আর এই বালুতে ঘোড়ার গাড়ি ছাড়া অন্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এতে চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষজন পরিবহন হিসেবে ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমন চিত্র দেখা গিয়েছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনার চরাঞ্চলে।

যমুনা নদীতে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় পূর্বপাড় থেকে চরাঞ্চলের মানুষ ঘোড়ার গাড়িতে তাদের মালামাল পরিবহন করছে। তবে হতদরিদ্র অনেক মানুষ বাড়ির নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র মাথায় নিয়ে হেঁটে নদী পাড়ি দিচ্ছে। আবার অনেকেই মোটরসাইকেল যোগে যার যার গন্তব্যে যাচ্ছেন।

উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি গ্রামের বেকার ছেলে ঘোড়ার গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসারের হাল ধরেছেন। আর এতে চরাঞ্চলের অনেক পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে।

উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের পুংলীপাড়া গ্রামের ঘোড়া গাড়ির চালক শাহ জামাল ও গোবিন্দপুর গ্রামের মোতালেব বলেন, 'নদীতে পানি না থাকায় বিশাল বিশাল চর জেগে উঠেছে। নৌকা এখন আর বিভিন্ন ঘাটে যেতে পারে না। চরাঞ্চল এলাকার জমি থেকে উৎপাদিত ফসল ঘরে তোলার জন্য ঘোড়া গাড়ি একমাত্র বাহক। কেননা মাইলের পর মাইল ধু ধু বালুচর পায়ে হেঁটে মাথায় করে ফসল বাড়িতে নিয়ে আসা খুবই কষ্টকর। তাই বর্তমানে এ চরাঞ্চলে মালামাল ও বিভিন্ন ধরনের পরিবহনের জন্য ঘোড়ার গাড়ি প্রধান মাধ্যম।

উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, 'চরাঞ্চলের অনেক বেকার যুবক ঘোড়ার গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসারে হাল ধরেছেন। যেহেতু যমুনা নদীর পানি শুকিয়ে চর জেগেছে। সেই কারণে নৌকা বেশি দুর যেতে পারে না। তাই চরাঞ্চলে মালামাল পরিবহনের জন্য যেমন ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে অন্যদিকে মানুষের চলাচলের জন্য মোটরসাইকেল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

আমারসংবাদ/কেএস