Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

পুলিশের সঙ্গে সমঝোতায় অবৈধ যানবাহনের দখলে মহাসড়ক

এইচ এম শাহনেওয়াজ, পুঠিয়া

মার্চ ৬, ২০২০, ০৭:৫২ এএম


পুলিশের সঙ্গে সমঝোতায় অবৈধ যানবাহনের দখলে মহাসড়ক

পুঠিয়ায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের ২৭ কিলোমিটার জুড়ে দাপিয়ে চলছে শত শত অবৈধ হিম্যানহলার ট্রলি-ট্র্যাক্টর। মহাসড়কের পাশাপাশি স্থানীয় সড়ক গুলোও অবৈধ যানবাহন দখলে রেখেছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ হাইওয়ে পুলিশের সাথে বিশেষ সমঝোতা হওয়ায় অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনী কোনো প্রদক্ষেপ নিচ্ছেন না। যার কারণে মহাসড়ক ও স্থানীয় সড়ক গুলোতে নিয়ন্ত্রণহীন অবৈধ ট্রলি-ট্র্যাক্টর ও হিম্যানহলারের দাপটে দুর্ঘটনার পাশাপাশি জনদুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে।

জানা গেছে, উপজেলায় ভাটা গুলোর ইট ও মাটি বহন করতে প্রায় পাঁচশতাধিক অবৈধ ট্রলি-ট্র্যক্টার চলাচল করছে। ইটভাটার ট্রলি-ট্র্যক্টর গুলো মাত্রারিক্ত মাটি বহণ করায় মহাসড়ক জুড়ে মাটিতে সয়লাভ হয়ে পড়ছে। এতে রাস্তায় ধূলার কারণে বিভিন্ন পথচারী ও স্থানীয়রা চরম বিপাকের মধ্যে রয়েছে।

এছাড়া মহাসড়কে চলাচলরত প্রায় দুই শতাধিক হিউম্যানহলারের কোনো প্রকার কাগজপত্র নেই। অবৈধ যানবাহন গুলো প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর থেকে গভীররাত পর্যন্ত ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে ব্যাপরোয়া ভাবে চলছে।

ব্যাটারী চালিত ভ্যান চালক আবেদ আলী বলেন, প্রতিদিন মহাসড়কে শতশত ট্রলি-ট্র্যাক্টর ও হিম্যানহলার চলাচল করছে। তারা হাইওয়ে পুলিশকে নিয়মিত টাকা দেয়। যার কারণে তাদের যানবাহন গুলো পুলিশ আটক করছে না। আর আমরা গরীব মানুষ পেটের দায়ে অটো-ভ্যান চালাই। আর আমরা পুলিশকে কোনো টাকা দেইনা না। সে জন্য রাস্তায় বের হলেই তারা আমাদের ভ্যান গুলো আটক করছেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে অবৈধ যানবাহন গুলোর একাধিক চালকরা অভিযোগ তুলে বলেন, হাইওয়ে পুলিশের প্রতিটি ষ্ট্যান্ডে অলিখিত একজন করে টাকা আদায়কারী বা লাইনম্যান নিয়োগ দেয়া রয়েছে। তাদের প্রতিমাসে গাড়ী প্রতি দু’শত থেকে তিনশ’ টাকা হারে চাঁদা দিতে হয়। এছাড়া ইটভাটার ট্রলি-ট্র্যাক্টর প্রতি তাদের আলাদা মাসিক কন্ট্যাক রয়েছে। মাসোহারা না দিলে তারা ওই গাড়ী আটক করে মামলা দিয়ে দেন।

কাঁচামাল বহনকারী ট্রাক চালক আজাহার আলী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, হাইওয়ে পুলিশের লোকজন বেলপুকুর-বানেশ্বর ও শিবপুর এলাকায় মালবাহী গাড়ি গুলোতে কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য থামিয়ে দেয়। পরে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে গাড়ী গুলো থেকে দুই’শ থেকে তিনশত টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন।

এ বিষয়ে পবা হাইওয়ে ইনচার্য (শিবপুর ফাঁড়ী) উপ-পরিদর্শক কাজল কুমার নন্দীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওলিউজ্জামান বলেন, মহাসড়কে ট্যাক্টর-ট্রলিসহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন গুলো দেখার দায়িত্ব মূলত হাইওয়ে পুলিশের। তবে জনস্বার্থে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

আমারসংবাদ/কেএস