Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

আক্কেলপুরে ইটভাটায় অবৈধভাবে পুড়ছে কাঠ

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

মার্চ ৭, ২০২০, ০৫:২৩ এএম


আক্কেলপুরে ইটভাটায় অবৈধভাবে পুড়ছে কাঠ

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটা গুলোতে আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে কাঠ মজুদ করেছে এবং তা জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছে ভাটা মালিকরা। অথচ ইট ভাটায় কাঠ পোড়ানো যাবে না, সরকারের এমন কঠোর আইন রয়েছে।

সরেজমিনে বেশ কয়েকটি ভাটা ঘুরে দেখা গেছে শত শত মন কাঠ মজুদ করা রয়েছে। ভাটার চিমনিতে ধুয়া বের হচ্ছে, আর পুড়ছে কাঠ।
ব্যারেল চিমনি’র এই ভাটার চারিদিকে কয়েকশত মন কাঠ রয়েছে। শ্রমিকরা জ্বালানী হিসেবে এই কাঠ ব্যবহার করছেন।

একই ভাবে উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের ভাটা মালিক আবুল খায়ের মো. সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, শুধু কাঠ নয় মাঝে মধ্যে কয়লা পুড়িয়ে থাকি। এভাবে কাঠ পোড়ানো ঠিক কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই করছে তাই তিনিও করছেন।

ভাটা মালিকদের একজন জানান, তারা জিকজ্যাক ভাটা পরিচালনা করেন। তাদের ভাষায় জিকজ্যাক ভাটা ছাড়া অন্য কোনো ভাটার অনুমোদনের সুযোগ নেই। সরকার ব্যারেল বা ফিক্সড চিমনি’র কোনো ভাটার অনুমোদন দিচ্ছে না। এই ভাটায় কয়লা ব্যবহার হয়ে থাকে। জিকজ্যাক ভাটায় ইট পোড়ানোর খরচ একটু বেশি হওয়ায় অনেকে করতে চান না।

সূত্র জানায়, ব্যারেল বা ফিক্সড চিমনি’র ভাটার চেয়ে জিকজ্যাক ভাটায় ইট পোড়াতে তাদের ইট প্রতি ২ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়। এতে তারা ব্যবসায়ীক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। কম টাকায় ইট তৈরি করে তারা কম টাকায় বিক্রি করছেন, আর তারা ওই টাকায় বিক্রি করতে গিয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ইট ভাটায় অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে পরিবেশ দূষিত হয়। যার ফলে কৃষি জমিতে কাঙ্খিত শষ্য উৎপাদন হয় না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকিউল ইসলাম বলেন, উপজেলার সকল ভাটা মালিকদের আমরা অবগত করেছি তারা যেন কাঠ জ্বালানী হিসাবে ব্যাবহার না করে। এর পরেও যদি তারা কাঠ জ্বালানী হিসাবে ব্যাবহার করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আমারসংবাদ/কেএস