Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

সেতুর মুখ বালু দিয়ে ভরাট, পানি চলাচলে বাধা

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

মার্চ ১২, ২০২০, ০৭:৪৮ এএম


সেতুর মুখ বালু দিয়ে ভরাট, পানি চলাচলে বাধা

শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের পোতাজিয়া চক্রবর্তীপাড়া খালের ওপর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি সেতু নির্মাণ করে।

কিন্তু নির্মাণের পরপরই একটি প্রভাবশালী চক্র খালের জায়গার মালিকানা দাবি করে সেতুটির পশ্চিম পাশের মুখ বালু দিয়ে ভরাট করেছে। এতে কুমুদীঘি বিলের পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

অপরদিকে, এই ব্রিজের দুপাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় এটি এলাকাবাসীর কোনো কাজেই আসছে না। এছাড়া ব্রিজটির উচ্চতা কম হওয়ায় স্বাভাবিক বর্ষাতে এর ওপর দিয়ে পানি উঠে পড়ে।

ফলে ব্রিজটি এলাকাবাসীর কোনো উপকারেতো আসেই না বরং ব্রিজটি এখন এলাকাবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষের চলাচলের জন্য নির্মিত হলেও এখন ধান শুকানোসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে ব্রিজটি।

পোতাজিয়া ইউনিয়নের ঘোষপাড়া, ভিটাপাড়া, গাতিপাড়া ও চক্রবর্তীপাড়ার আনিস, আয়শা বেগম ও হাসি খাতুন জানান, বর্ষা মৌসুমে পাশের বিলচান্দ, কেনাই, বহলবাড়ি, বৃ-আঙ্গারু, রেশমবাড়িসহ শাহজাদপুর উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের দুগ্ধ খামারিদের দুধসহ নানা ধরনের কৃষিপণ্য নিয়ে সহজে যাতায়াতের জন্য ও কুমুদীঘির বিলের পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।

কিন্তু এটি নির্মাণের পর ওই গ্রামের প্রভাবশালী আলিফ আলী (৫০) ও তার ছেলে পলাশ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ফেলে ব্রিজটির পশ্চিম অংশের মুখ বন্ধ করে দেন।

ফলে ব্রিজের নিচ দিয়ে পানিপ্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে অথচ উপজেলা প্রশাসন বালু অপসারণের কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। ফলে কুমুদীঘির বিলের পানিপ্রবাহ এখন বন্ধ। এতে করে এলাকার পরিবেশও হয়ে পড়েছে হুমকির মুখে।

পোতাজিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে চক্রবর্তীপাড়া খালের ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।

কিন্তু এর মুখ ভরাট করায় পুরো টাকাই এখন বালুচাপা। এ কারণে ব্রিজটির সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের কাজও এখন অনিশ্চিত।

তিনি আরও বলেন, এলাকার স্বার্থে খুব শিগগির ব্রিজটি সচল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে আলিফ ও তার ছেলে পলাশ বলেন, আমাদের জমিতে আমরা বালু ভরাট করেছি। এখানে ব্রিজটি নির্মাণের সময় বাধা দেওয়া হলেও পিআইও অফিসের লোকজন জোর করে এখানে ব্রিজটি নির্মাণ করে।

শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, অল্প দিন হলো আমি এখানে এসেছি। তাই এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছিনা। তবে এলাকাবাসীর দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে অচিরেই ভরাট করা বালু অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা বলেন, বিষয়টি যেহেতু আমার জানা ছিলনা। তাই খোঁজ নিয়ে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমারসংবাদ/এআই