Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

অগ্নি শপথে মারুফা হত্যার প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার ঘোষণা

সাইফুল আরিফ জুয়েল, মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা)

মে ২২, ২০২০, ০৩:৫৩ পিএম


অগ্নি শপথে মারুফা হত্যার প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার ঘোষণা

 

মুখে কালো কাপড় বেঁধে অগ্নি শপথের মধ্য দিয়ে গৃহকর্মী মারুফা হত্যার প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার ঘোষণার মধ্য দিয়ে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ‘শিশু ছায়া’ সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলার শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।

এতে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে যোগ দিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করে।

গৃহকর্মী মারুফা হত্যার প্রতিবাদে পুরো জেলায় বিক্ষোভ করছে তরুণরা। এ পর্যন্ত হত্যাকারীর নিজ বাসার সামনে সহ কলমাকান্দা, বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ ও নেত্রকোনা পৌর শহরে ১০টি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে এবং তরুণ সমাজ বিচারের দাবিতে সোচ্চার রয়েছে জেলাজুড়ে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কাঞ্চন চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে এলাকাবাসী।

এ সময় মানববন্ধনকারীরা মারুফা হত্যার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে অগ্নিশপথ করে এবং প্রতিবাদকারীরা কাঞ্চন চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও করার ঘোষণাও দেন।

মোহনগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক শাহারিয়ার আসিফ ইমন বলেন, এত বড় একটা ঘটনায় চেয়ারম্যান জাদুর মতো জামিন নিয়ে বের হয়ে এসেছে। এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনা উন্মোচন করা হউক। না হলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে জবাব দেয়া হবে।

এ মানবন্ধনে সমাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘শিশু ছায়া’র মোহনগঞ্জ টিমের রফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন রনি, মেহেদি হাসান ইমন, আরিফুল ইসলাম সহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৯ মে চেয়ারম্যান কাঞ্চনের বাসার কিশোরী গৃহকর্মী মারুফা (১৪) আত্মহত্যা করেছে বলে লাশ নিয়ে চেয়ারম্যান নিজেই হাসপাতালে যান। পরে শিশুটির গায়ে স্পর্শকাতর বিভিন্ন স্থানে যখমের চিহ্ন দেখে হাসপাতালের এবং স্থানীয় মানুষদের মাঝে সন্দেহ হলে থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্তের পর লাশ মারুফার বাবার বাড়ি সিংধা এলাকায় চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে হওয়ায় ভয়ে কলমাকান্দা নানার বাড়িতে নিয়ে দাফন করে। চেয়ারম্যান বিভিন্নভাবে মারুফার মাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আত্মহত্যা মামলায় সই করাতে চায়। পরে মেয়ের মা আকলিমা আক্তার ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসীর হস্তক্ষেপে ঘটনাস্থল মোহনগঞ্জ থানায় ১১ মে মামলা নেয়।

ওই রাতেই পুলিশ চেয়ারম্যানকে আটক করে ১২ মে আদালতে প্রেরণ করলে ১৪ মে চেয়ারম্যান জামিনে ছাড়া পায় চেয়ারম্যান কাঞ্চন।

এ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন ও তরুণেরা হত্যার প্রতিবাদে তাদের কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছে।

আমারসংবাদ/জেআই