নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০, ১২:৩৫ পিএম
‘বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ৭৫ ভাগ স্থায়ী শিক্ষক রাখার বাধ্যবাধকতা রেখে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় এই নতুন আইন করা হচ্ছে। আইন অমান্য করলে দুই বছর কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়া যাবে। এ ছাড়া অনুমোদন বাতিল করাও হতে পারে।
বেসিরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের একাডেমিক অনুমোদন, নবায়ন, শিক্ষা কার্যক্রম, শিক্ষার্থী সংখ্যা, তাদের সুবিধা ও শিক্ষকের কী যোগ্যতা থাকবে, কলেজগুলো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে, অর্থ ব্যবস্থাপনা কেমন হবে— এই বিষয়গুলো আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে বলেন, বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলো এতদিন দুটি নীতিমালার অধীনে চলত। নীতিমালা দিয়ে সব কিছু সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছিল না, তাই নতুন আইন করা হচ্ছে।
বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের প্রত্যেক বিভাগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১:১০। এসব প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। ৭৫ শতাংশ স্থায়ী শিক্ষক থাকতে হবে, ২৫ শতাংশের বেশি খণ্ডকালীন শিক্ষক রাখা যাবে না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৭০টি ও ডেন্টাল কলেজের সংখ্যা ২৬টি। আর সরকারি মেডিকেল কলেজ ৩৬টি ও সরকারি ডেন্টাল কলেজ একটি।
যে বিভাগের যে মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজ রয়েছে সেগুলো ওই বিভাগের মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এবং যে বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেখানে সার্কুলার দিয়ে বলে দেয়া হবে কার অধীনে থাকবে।
তিনি আরও জানান, রিজার্ভ ফান্ডে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে তিন কোটি টাকা এবং ডেন্টাল কলেজগুলোকে দুই কোটি টাকা রাখতে হবে। মেট্রোপলিটন এলাকায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ করতে কমপক্ষে ২ একর জমি এবং অন্য জায়গায় স্থাপন করলে ৪ একর জমি থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে যতগুলো শয্যা থাকবে তার ১০ ভাগ দরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। মেডিকেল কলেজে কমপক্ষে ২৫০টি ও ডেন্টালে কমপক্ষে ৫০টি শয্যা থাকতে হবে।
নতুন আইন অনুযায়ী, কেউ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ খুলতে চাইলে কমপক্ষে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী লাগবে। নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস থাকতে হবে। প্রতি ১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক প্রয়োজন হবে।
আইনে বর্জ্য ব্যস্থাপনার বিধান রাখা হয়েছে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মেডিকেল বর্জ্যগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো নরমাল ডাম্পিংয়ে রাখলে হবে না। এখান থেকে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া বা রোগ-জীবাণু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
আমারসংবাদ/এআই