Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

নড়াইলে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অনার্স পড়ুয়া ছাত্রীকে উদ্ধার

নড়াইল প্রতিনিধি

অক্টোবর ১৮, ২০২০, ১০:০২ এএম


নড়াইলে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অনার্স পড়ুয়া ছাত্রীকে উদ্ধার

নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্স একাউন্টিং তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করেছে। শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে নড়াইল শহরের কুরিগ্রামে চিত্রশিল্পী এস.এম সুলতান কমপ্লেক্সের সন্নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর নাম কনা বিশ্বাস। সে জেলার কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি ইউনিয়নের আরাজি বাঁশগ্রামের পুস্পেন বিশ্বাসের কন্যা। তাকে উদ্ধারের পর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরে আসে।

মেয়েটির বাবা পুস্পেন বিশ্বাস জানান, কনা প্রতি দিনের মতো সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের হোস্টেলের পাশে কোচিং করতে আসে। সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে তার সাথে কথা হলে তাকে একটি নতুন মোবাইল সিম কিনতে বলি। এর পর তার সাথে আর কথা হয়নি। দুপুরে বাড়িতে না আসায় তাকে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেয়ের নতুন মোবাইল নম্বর থেকে আমার কাছে ফোন করে বলা হয় মেয়েকে পেতে হলে ৫ লাখ টাকা লাগবে। তখন আমি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে সন্ধ্যার পর এক মহিলার কন্ঠে মেয়ের পুরোনো ফোন নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয় সুলতান কমপ্লেক্সের পাশে আপনার মেয়ে পড়ে আছে। এ সময় সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

রোববার সকাল ১০টার দিকে মেয়েটির জ্ঞান ফেরার পর সে বলেছে, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রূপগঞ্জ নিশিনাথতলা থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য ভ্যানে উঠি। পরে মাছিমদিয়া সুলতান সেতুর কাছে গেলে একজন মুখে রুমাল ধরার পর তার আর কিছু মনে নেই।

এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মশিউর রহমান বাবু বলেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে মেয়েটির জ্ঞান ফিরেছে। মেয়ের সকল ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট পেতে দু’একদিন সময় লাগবে।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদি হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। আসামি অজ্ঞাত। কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। মেয়ের মোবাইল ফোন নম্বর ট্রাকিং করে আসামিদের চিহিৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

আমারসংবাদ/কেএস