Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

সিরাজদীখানে আলু রোপণ শুরু, ব্যস্ত কৃষক

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদীখান (মুন্সীগঞ্জ)

নভেম্বর ২১, ২০২০, ১১:০৫ এএম


সিরাজদীখানে আলু রোপণ শুরু, ব্যস্ত কৃষক

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে গোটা জনপদ আলু রোপণের জন্যে জমি প্রস্তুতে দিন রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।  গতবছরের তুলনায় এবার দেরিতে আলু রোপণ শুরু করেছে চাষিরা। বিভিন্ন জেলা থেকে আশা শ্রমিকদের নিয়ে আর কয়েক দিন পর পুরোদমে আলু রোপণ উৎসবে মেতে উঠবেন কৃষকরা।

এরই প্রস্তুতি হিসেবে এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হিমাগার থেকে বীজ আলু নেয়া, কোথাও জমি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, কোথাও প্রস্তুত হওয়ার পর আলু রোপণ কাজ করে যাচ্ছেন তারা। কিন্তু এবার বন্যার পানি বেশিরভাগ জমি থেকে নামতে দেরি হওয়ায় আলু রোপণে ধীরগতি হচ্ছে। 

এতে কৃষিজমি প্রস্তুত করতে দিন রাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকরা।  এছাড়া অনেক স্থানে আলু রোপণ শুরু করে দিয়েছে চাষিরা। উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে এখন চলছে কৃষি জমি প্রস্তুতের কাজ। কৃষক মাঠে কাজ করছে আর বাড়িতে নারীরাও বীজ আলু কাটার কাজে ব্যস্ত।

আগামী এক মাস ধরে আলুর আবাদ চলবে। এ বছর আলুর ভালো ফলন ও এযাবত কালে প্রথম বার ব্যপক আলু বিক্রিতে লাভবান হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা বেশ উদ্দীপনা ও উৎসাহ নিয়ে আলু চাষ করছেন। 

শনিবার সকাল ১০ টায় সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা বয়রাগাদী ইউনিয়নের বড়পাউলদিয়া মোল্লার মসজিদের দক্ষিণ পাশে কৃষক আনন্দ ও উদ্দীপনা নিয়ে আলু রোপন শুরু করে দিয়েছে। কেউ কেইল ফারছে, কেউ আলু মাটির ভিতর রোপণ করছে। 

এছাড়া অনেক কৃষক জমি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নর কাজ করছেন। আবার কোথাও জমিতে সার ছিটাচ্ছে, কোথাও ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করছে। এছাড়া বেশিরভাগ নিচু জমি গুলোতে পাম্প মেশিন দিয়ে পানি শুকাতে হচ্ছে চাষিদের। এর ফলে আলু রোপণে বিলম্ব হচ্ছে।

উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আলু রোপণের আদর্শ সময় নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত। গত বছর আলু চাষ হয়েছে ৯ হাজার ২ শত  হেক্টর জমিতে। এবছর ৯ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে আলুচাষ হতে পারে। গত বছরের তুলনায় ৩ শত হেক্টর জমি আলু চাষ বেশি হতে পারে।

উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের কৃষক মো. ইয়াসিন বলেন, আমি ৫ কানি জমি আলু চাষ করছি। গত ৩ বছর ধরে আলুর দাম কম থাকায় আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার মত লোকশান হয়েছে। তবে এবার আমি লাভবান হয়েছি।

কৃষক আজিজ শেখ বলেন, এবার আমরা জমিতে পাম্প মেশিন দিয়ে পানি শুকিয়ে আলু রোপণ করার জন্য প্রস্তুত করছি। তাই প্রতিবারের চেয় এবার অতিরিক্ত খরচ পড়বে। আমার পাশের জমিতে আলু রোপণ শুরু করেছে। আমার নিচু জমি হওয়ায় পানি সেচ দিয়ে শুকাতে হচ্ছে।

উপজেলার  কৃষি সমপ্রসারণ অফিসার মহসিনা জাহান তোরণ বলেন, এ যাবতকালে এবারেই প্রথম আলুতে ব্যাপক লাভবান হয়েছে কৃষকরা। এর ফলে এবার আনন্দ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আলু রোপণ করছে চাষিরা। 

কিন্তু এবার অনেক জমিতে পানি জমে থাকায় বাড়তি খরচে আলু রোপণ করতে হচ্ছে। কারণ জমি থেকে সেচ দিয়ে পানি শুকিয়ে তারপর আলু রোপণ করতে হচ্ছে। এর ফলে চাষীদের একটু খরচ বেড়ে গেছে।

আমারসংবাদ/এআই