Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

ভা‌গ্নির লজ্জাস্থানে মামির গরম খু‌ন্তির ছ্যাঁকা!

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি

নভেম্বর ২৬, ২০২০, ০৮:১০ এএম


ভা‌গ্নির লজ্জাস্থানে মামির গরম খু‌ন্তির ছ্যাঁকা!

বরিশালের গৌরনদীতে নানা বাড়িতে আশ্রিত থাকা পাঁচ বছরের এক কন্যা শিশুর লজ্জাস্থানে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা ঝলসে দিয়েছে পাষণ্ড মামি শাহনাজ বেগম (৩৪)। পাষণ্ড নারী উত্তর বিজয়পুর গ্রামের রমজান সরদারের স্ত্রী।

দুই শিশুর ঝগড়ার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র ধরে নির্মম পৈশাচিক অমানবিক এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটলেও প্রকাশ পেয়েছে বুধবার (২৫ নভেম্বর)।

শিশুর বাবা সফিকুল ইসলাম বুধবার সন্ধায় শাহনাজ বেগমকে অভিযুক্ত করে গৌরনদী মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। 

পুলিশ উপজেলার কলাবারীয়া গ্রামে শিশুটিকে নিয়ে আত্মগোপনে থাকা পাষন্ড নারী শাহনাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করে এবং আহত শিশুটিকে উদ্ধার করেছে।

জানা গেছে, তিন বছর পূর্বে শিশুর বাবাকে ডিভোর্স দেয় শিশুটির মা আখি আক্তার। এরপর থেকে নানা বাড়িতে মায়ের সাথে বসবাস করে আসছে। শিশুটির বয়স পাঁচ বছর পূর্ণ হলে বাবার কাছে চলে যাবে। শিশুটির বাবা প্রতি সপ্তায় কিছু খাবার ও টাকা দেন।

শিশুটির বাবার নাম সফিকুল ইসলাম। দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে উপজেলার গোবর্দ্ধন গ্রামে বাস করেন। নির্যাতিত শিশুটির দুই মাস বাকি আছে পাঁচ বছর পূর্ণ হতে। 

বুধবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধায় শিশুর বাবা সফিকুল ইসলাম জানান, প্রতি সোমবার মেয়েটিকে কিছু খাবার আর টাকা দিতাম।

গত সোমবার শীতের কাপর ও কিছু খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম ওই বাড়িতে। গিয়ে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। 

পাশের ঘরের একজনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, গত শনিবার বিকেলে শিশুটিকে গ্যাসের চুলায় খুন্তি গড়ম করে মাটিতে পারিয়ে ধরে লজ্জাস্থানে ছ্যাঁকা দিয়েছে শাহনাজ। এতে শিশুটি গুরতর জখম হয়েছে। 

এ ঘটনার পর ডাক্তার দেখানোর কথা বলে সবাই চলে গেছে এরপর বাড়িতে কেউ আসেনি। ঘটনাটি শুনে আমি হতবাগ হয়ে গেলাম। আমি শাহনাজের স্বামী রমজানের মোবাইল ফোনে ফোন দিলে গত দুই তিন দিন সে ফোন ধরে নাই।

বুধবার বিকেলে শিশুর মামা রমজান আমাকে ফোন দিয়ে ক্ষমা চাইছে আর বলছে তার ভালো চিকিৎসা হইতেছে সে ভালো আছে।

এসময় আমি মেয়ের সাথে কথা বলতে চাইলে আমার মেয়েকে ফোন দিলে মেয়ে জরসর কন্ঠে কান্না করছে আর বলছে বাবা আমারে মামি পুরে দিয়েছে আমারে নিয়ে যাও। 

এরপর তার কাজ থেকে মোবাইল নিয়ে রমজান সরদার বলে শুক্রবার বাড়িতে আসবে সবাই তোমার মেয়ে সেই সময় নিয়ে যাবে বলে ফোনটা কেটে দেয়। 

তিনি আরো জানান মেয়েটি দাড়াতে বসতে পারছে না ঠিকমত চিকিতৎসাও হচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী প্রতক্ষ্যদর্শীর বরাত দিয়ে জানান, এ ঘটনার দিন ও বাড়িতে একটি মেয়ের ডাকচিতকার শুনেছি। পরে জানতে পারলাম মেয়েটির নির্যাতনের কথা। একটি বিভৎস ঘটনা এটি। পাঁচ বছরের একটি শিশুকে এভাবে পৈশাচিক নির্যাতন মানা যায় না।

গৌরনদীমডেল থানার পরিদর্শক মোঃআফজাল হোসেন জানান, সন্ধায় অভিযোগ পাওয়ার পরপরই শিশুটিকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত শাহনাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে শিশু নির্যাতনের কথা শিকার করেছে।

আমারসংবাদ/এআই