Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

স্ত্রীকে আনতে গিয়ে জামাইয়ের মৃত্যু, ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাজশাহী প্রতিনিধি 

নভেম্বর ৩০, ২০২০, ০৩:৫০ পিএম


স্ত্রীকে আনতে গিয়ে জামাইয়ের মৃত্যু, ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের একটি কক্ষে আটক যুবক মোফাজ্জাল হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার রাতে নিহতের ভাই উজ্জ্বল আলী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন দামকুড়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম।

তিনি জানান, মামলায় হরিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিলসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন, নিহত মোফাজ্জলের শ্বশুর রফিকুল ইসলাম, স্ত্রী রিয়া খাতুন ও শাশুড়ি সুদানা বেগম। মামলায় ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। নিহতের শ্বশুর রফিকুল ইসলামকে প্রধান ও ইউপি চেয়ারম্যান মুঞ্জিলকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। 

গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে মোফাজ্জালের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। নিহত মোফাজ্জল হোসেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউনিয়নের যুগলপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।

দুই সপ্তাহ আগে ভ্যানচালক মোফাজ্জল হরিপুর ইউনিয়নের নলপুকুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে আসায় তাকে ফিরিয়ে নিতে দুইদিন আগে শ্বশুরবাড়ি এসেছিলেন তিনি। পরে তাকে ইউপি কমপ্লেক্সে আটকে রাখা হয়।

এ ব্যাপারে দামকুড়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, লেপের ছেড়া অংশের কাপড় দিয়ে জানালার সঙ্গে ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া গেছে। আগের রাত থেকে ওই কক্ষে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। এটি হত্যা না আত্মাহত্যা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নিহতের শরীরে কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি কীভাবে মারা গেছেন তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

তিনি আরো জানান, রোববার সকালে গ্রাম পুলিশ গিয়ে মোফাজ্জলের মরদেহ দেখে চেয়ারম্যানকে খবর দেয়া হয়। পরে তিনি বিষয়টি থানায় জানান। পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) খবর দেয়া হয়। তারা গিয়ে মরদেহের সুরতহাল তৈরির পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিল জানান, দুই সপ্তাহ আগে বিয়ে হলেও রফিকুলের মেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসেন। কনে আর সংসার করতে চাচ্ছিলেন না। দুইদিন আগে মোফাজ্জল স্ত্রীকে নিতে শ্বশুরবাড়ি আসেন।

শনিবার সন্ধ্যায় তিনি স্ত্রীকে মারধর করেন। এ সময় মোফাজ্জলকে ধরে মারধর করে আমার কাছে নিয়ে আসে। আগামী রোববার দুইপক্ষের লোকজনদের নিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহের বিষয়ে মীমাংসায় বসার কথা ছিল। এজন্য রাতে মোফাজ্জলকে ইউপি ভবনের একটি কক্ষে রাখা হয়।

আমারসংবাদ/এমআর