Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

বলাৎকারকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি

ডিসেম্বর ১৮, ২০২০, ০৪:৪৫ এএম


বলাৎকারকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি

শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের অধিনস্থ বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদের বিরুদ্ধে এক ছাত্রের সঙ্গে অনৈতিক আচরণের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি।  

উল্লেখ্য গত ১ ডিসেম্বর নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে বাসায় ডেকে তার সঙ্গে প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদ অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ উঠে। অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগের ভিডিও-অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে চারদিকে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় উঠে। 

এসময় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বাসা অবরুদ্ধ করে প্রতিবাদ ও ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করে। 

তাৎক্ষণিক বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বিটিআরআই পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছালেকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের উপস্থিতিতে বিষয়টি তদন্ত করে উপযুক্ত বিচার করার আশ্বাস দিয়ে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান ত্যাগ করার অনুরোধ জানান। বিক্ষোভকারীরা উনার কথায় আস্বস্ত হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। 

ঘটনার পরদিন ২ ডিসেম্বর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি'র জরুরী সভায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদের বিরুদ্ধে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত করে। তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। 

অপর দিকে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অভিযোগ (এসএল নং- ২০৯৪) দেয়। 

তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. তৌফিক আহমেদ এ ব্যাপারে বলেন, আমরা তদন্ত করে যা পেয়েছি তা উল্লেখ করেছি। প্রতিবেদনে আমরা বাদী-বিবাদীদের মতামত তুলে ধরে তা জমা দিয়েছি। এখন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ১৩ ডিসেম্বর রবিবার। 

তদন্ত কমিটি'র চুড়ান্ত প্রতিবেদন পাবার পর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি অভিযুক্ত সায়েক আহমেদকে বৃহস্পতিবার ১৭ ডিসেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ভাবে উনার জবাব দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের লিখিত জবাব পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় নীতিগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

জানা যায়, বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদকে বলাৎকারের অভিযোগ থেকে বাঁচাতে একটি মহল গোপন তৎপরতা শুরু করে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি মহল প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানা যায়।  

বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে সিলেট বিভাগের ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ দিনের সুনাম ক্ষুন্নকারী এই প্রধান শিক্ষককে বহিষ্কার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি'র কাছে। কোন ব্যক্তি বিশেষের জন্য যেন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুন্ন না হয় সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। 

আমারসংবাদ/এআই