Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

জিয়া-এরশাদ-খালেদা, প্রত্যেকের একই চরিত্র: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৩, ২০২১, ০৯:০০ এএম


জিয়া-এরশাদ-খালেদা, প্রত্যেকের একই চরিত্র: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষকে কিভাবে শোষণ করা যায়, অধিকার কেড়ে নেওয়া যায়, তাই চলেছে ২১ বছর। জিয়ার পরে এরশাদ এসেছে, খালেদা জিয়া এসেছে, প্রত্যেকেরই একই চরিত্র।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) ৬৬ হাজার ১৮৯টি গৃহহীন পরিবারকে ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেওয়ার অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি সেনা শাসনের সময় দেশের মানুষের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কি পেয়েছিল তখন? অনেকে গালভরা কথা বলে- গণতান্ত্রিক অধিকার পেয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকারটা কী? একটা মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতা দখল করে একদিন ঘোষণা দিল যে ‘আজ আমি রাষ্ট্রপতি হলাম’। তারপরই সেটা গণতন্ত্র হয়ে গেল। হ্যাঁ, অনেকগুলি রাজনৈতিক দল করার সুযোগ করে দিল, কিন্তু দুর্নীতি করা, মানি লন্ডারিং করা, ব্যাংকে ঋণ খেলাপ করা। টাকা ব্যাংক ছাপিয়ে নিয়ে এসে সেগুলো ছড়িয়ে দিয়ে ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’ সে কথা শোনানো, এবং ‘আই ইউল মেইক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট ফর পলিটিশিয়ান’ একথাও জিয়াউর রহমান বলে গেছে। জিয়াউর রহমানের কাজই ছিল এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা।

বিএনপির গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, এদেশের মানুষকে দরিদ্র থেকে দরিদ্র রাখা আর মুষ্টিমেয় লোকদের টাকা-পয়সা দিয়ে তাদেরকে তার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা, মেধাবী ছেলেদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তাদের বিপথে ঠেলে দেওয়া। নির্বাচনের নামে প্রহসন সৃষ্টি করা।

তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রের জন্য এত কথা বলেন, তাদের কাছে একটাই প্রশ্ন, এটা কী করে গণতন্ত্র? একটা দল হল, হাঁটতে-চলতেও শিখল না। ক্ষমতায় বসে, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দলের সৃষ্টি, সে ক্ষমতায় আসে আর মানুষ পায় না এটা হয় কখনও? দেশের মানুষকে কিভাবে শোষণ করা যায়, অধিকার কেড়ে নেওয়া যায়, তাই চলেছে ২১ বছর। জিয়ার পরে এরশাদ এসেছে, খালেদা জিয়া এসেছে, প্রত্যেকেরই একই চরিত্র।

আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ায় জনগণকে ধন্যবাদ জানান সরকার প্রধান।
তিনি বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশের জনগণকে, শত প্রতিকুলতার মধ্যেও এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিলেন বলেই ১৯৯৬ এ আমরা ক্ষমতায় আসতে পারি। জনগণই আন্দোলন করে খালেদাকে ক্ষমতা থেকে সরায়। আমাদের অগ্রাধিকার ছিল খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৮ আমাদের জন্য ছিল অন্ধকার যুগ। ২০০৮ এর নির্বাচনে আবার জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিল। সেদিন জনগণের ভোট পেয়েছিলাম বলেই থমকে থাকা প্রকল্পগুলো আবার শুরু করতে পারি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‌দেশে গৃহহীন থাকবে না কোনো মানুষ, এটাই হবে মুজিববর্ষে সবচেয়ে বড় উৎসব। আজকে আমার অত্যন্ত আনন্দের দিন। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান করতে পারা আসলেই বড় আনন্দের। আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের কথাই ভাবতেন। আমাদের পরিবারের লোকদের চেয়ে তিনি গরীব অসহায় মানুষদের নিয়ে বেশি ভাবতেন এবং কাজ করেছেন। এ গৃহ প্রদান কার্যক্রম তারই শুরু করা।

এ সময় লাইভে যুক্ত ছিল খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা, চাপাইনবাবগঞ্জ সদর, নীলফামারীর সৈয়দপুর ও হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা। এছাড়াও দেশের সব উপজেলা অনলাইনে যুক্ত হয়।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রায় ৯ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাকাবাড়ি উপহার দেওয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ঘর পেলো দেশের ৪৯২টি উপজেলার ৬৯ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।

এছাড়া আগামী মাসে আরও ১ লাখ পরিবার বাড়ি পাবে। এ অনুষ্ঠানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৈরি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

আমারসংবাদ/জেআই