Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

শুধু মানুষ নয়, শহর-প্রকৃতিকেও ভালোবাসতে হবে: তাজুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১, ০৩:০০ পিএম


শুধু মানুষ নয়, শহর-প্রকৃতিকেও ভালোবাসতে হবে: তাজুল ইসলাম

শুধু মানুষ নয়, শহর ও প্রকৃতিকেও ভালোবাসার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, শুধু মানুষকে ভালোবাসলে হবে না, আমরা যে শহরে বসবাস করি সে শহরকে ভালোবাসার পাশাপাশি প্রকৃতি ও পরিবেশকে ভলোবাসতে হবে। নিজের আবাসস্থল, চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলে শহরের প্রতি ভালোবাসার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ভালোবাসা দিবস একদিন, শহরকে ভালোবাসি প্রতিদিন’ প্রতিপাদ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর অধিকাংশ পয়োঃবর্জ্য খালে ও লেকে ফেলা হয়। এটি দ্রুত বন্ধ করতে হবে। এই পয়োঃবর্জ্যের লাইন কীভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনা করার পাশাপাশি একটা টাইমলাইন নির্ধারণ এবং একটি কমিটি গঠন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

‘আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর নগরী দেখি, তখন স্বাভাবিকভাবে মনে হয় যদি আমাদের শহরটিও এমন হতো। তাছাড়া তাদের শহর সুন্দর শুধু সরকার বা সিটি করপোরেশন করেনি। সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে। সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকলেই কেবল ঢাকা নগরীকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব,’ বলেন তাজুল ইসলাম।

তিনি জানান, ঢাকা শহরকে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসতে পাঁচটি পয়োঃশোধনাগার করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দাশেরকান্দি প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। এছাড়া অন্যান্য প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এগুলোর কাজ শেষ হলে পুরো ঢাকা শহরের পয়োঃশোধনাগার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

হাতিরঝিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ড্রিম প্রজেক্ট’ ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সেখানে স্টেডিয়াম করার প্রস্তাব থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী মানুষের জন্য হাতিরঝিল নির্মাণ করা হয়েছে। রাজধানীতে এ রকম আরও অনেক হাতিরঝিল করা সম্ভব।

রাজধানীর উচ্চবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাসের এলাকায় পানি, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য পরিষেবার মূল্য সমান হতে পারে না তা পুনরায় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা নগরীতে কোথায় হাইরাইজ বা লোরাইজ বিল্ডিং হবে, কোথায় আবাসিক বা কমার্সিয়াল জোন হবে তা নির্ধারণ করতে হবে। মানুষের জন্য সড়ক, খেলার মাঠ, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিনোদনের স্থানসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো দরকার। শুধু উঁচু ভবন নির্মাণ করলেই হবে না, সামগ্রিক পরিকল্পনা নিয়েও কাজ করতে হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

কর্মশালায় রাজউক, ঢাকা ওয়াসা, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান, নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি এবং এনজিও প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।

আমারসংবাদ/জেআই