Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১, ০৩:১০ পিএম


গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী

গণমাধ্যমের অগ্রযাত্রায় স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা উভয়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস উপলক্ষে রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তোপখানা রোডে প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

প্রেস কাউন্সিল অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং গণমাধ্যম যাতে সমাজের দর্পণ হিসেবে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, ভুল এবং অসত্য সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকে এবং সেটি হলে যাতে প্রতিকার হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরপরই ১৯৭৪ সালে প্রেস কাউন্সিল গঠন করেছিলেন।

ড. হাছান বলেন, একটি বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গঠনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমরা অবাধ তথ্য প্রবাহ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সেই বিশ্বাস রেখেই আজকে রাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে এবং গত ১২ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতার সাথে আসে দায়িত্বশীলতা। একজনের স্বাধীনতা যেন অপরের স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে, অপরের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর যেন হস্তক্ষেপ না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

‘প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধন করতে যাচ্ছি, যাতে প্রেস কাউন্সিল বাস্তবতার নিরিখে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, তাদের যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা সুচারুভাবে পালন করতে পারে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং দায়িত্বশীলতা দুটিই নিশ্চিত করতে পারে,’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা একটি বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণে কাজ করছি। আজ দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশে-বিদেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারেও আমাদের সজাগ থাকতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।

হঠাৎ করেই সরকার পতনের খবর পাওয়া যাবে বলে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, এ কথার দুই ধরনের ব্যাখ্যা হয়। একটি হচ্ছে, তারা ভেতরে ভেতরে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যেভাবে ষড়যন্ত্র করেছিল, আমাদের সরকারের বিরুদ্ধেও ক্রমাগত ১২ বছর ধরে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। আরেকটি হচ্ছে, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন দৈব দুর্বিপাকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

বিএনপির সমাবেশ নিয়ে এক প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, কালকের (শনিবার) ঘটনার পর বিএনপি নেতাদের বক্তব্য আমি কাগজে এবং টেলিভিশনে দেখেছি। দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরে কয়েক শ মানুষের সমাবেশ যদি বিশাল সমাবেশ হয়, তাহলে বিএনপির জন্য পৃথিবীটা ছোট হয়ে আসছে এবং বুঝতে হবে, তারা জনগণ থেকে কতটুকু বিচ্ছিন্ন। আর গতকাল তারা খবরে শিরোনাম হতে চেয়ে গণ্ডগোল ঘটানোর জন্যই মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে পুলিশের বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও রাস্তা অবরোধ করেছিল। জনগণের সুবিধার্থে পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। সমাবেশ তো চট্টগ্রামসহ আরও বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে, কোথাও তো এ ধরনের গণ্ডগোল হয়নি।

প্রেস কাউন্সিল প্যানেল চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও তথ্যসচিব খাজা মিয়া এবং প্রেস কাউন্সিল সদস্যদের মধ্যে সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা ও প্রেস কাউন্সিলের পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা উড়িয়ে দিবসটি উদ্বোধন করেন অতিথিরা।

আমারসংবাদ/জেআই