Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

দেশি খাদ্যে আস্থা কম কেন: ভাবতে বললেন মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১, ০৩:১০ পিএম


দেশি খাদ্যে আস্থা কম কেন: ভাবতে বললেন মন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বিদেশি প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্যের তুলনায় দেশে উৎপাদিত পণ্যে ভোক্তাদের আস্থা কম কেন, তা নিয়ে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তাদের ভাবতে হবে।

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে দেশের প্রথম সারির খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী একথা বলেন। সরকারি-বেসকারি পর্যায়ে বছরে অন্তত তিনবার এ ধরনের আলোচনা আয়োজনের পরামর্শ দেন তিনি।

সিইওদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ভোক্তারা দেশে তৈরি খাদ্যপণ্যে কম আস্থা রাখছে। আবার বিদেশে রপ্তানির জন্য কোনো পণ্য প্যাকেটজাত করলে তাতে আস্থা বেশি থাকছে। এর পেছনের কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। যেই মানের পণ্য রপ্তানির জন্য তৈরি করা হয় সেই মানের পণ্যই যেন দেশের বাজারের জন্য তৈরি করা হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা কাউকে অযথা হয়রানি করতে চাই না। তবে আপনারা নিজেদের অন্তরটা ঠিক রাখবেন। ব্যবসায়ীদের মধ্যে মানবপ্রেম, দেশপ্রেম থাকলে খাদ্য ব্যবসা এগিয়ে যাবে।

বিভিন্ন সময় খাদ্যে ভেজাল অনুসন্ধানের নামে ‘ষড়যন্ত্রমূলক বা উদ্দেশ্যমূলক’ কর্মকাণ্ড করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ যখন গঠন হল তখন উত্তরবঙ্গ থেকে আসা অনেক আম গাবতলী পর্যন্ত পৌঁছানোর পরই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল ফরমালিনের কথা বলে। আসলে ফরমালিন কোনো সমস্যা নয়। বিষয়টি হচ্ছে এর মাত্রাতিরিক্ত প্রয়োগ নিয়ে। এখন আম ব্যবস্থাপনা একটা নিয়মের মধ্যে চলে এসেছে। আমরা কোন আম কখন বাজারজাত করতে হবে, তার জন্য একটা তারিখ ঘোষণা করে দিয়েছি। সেই অনুযায়ী এখন আম বাজারজাত হচ্ছে।

দুই বছর আগে বাংলাদেশে দুধের মধ্যে ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সেটাও ছিল একটা ষড়যন্ত্র। এর পেছনে কারা ছিল পরে আমরা সেটাও বের করেছি। আসলে দেশীয় বাজার নষ্ট করে আমদানি পণ্যের বাজার সৃষ্টির জন্য এ ধরনের প্রপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক ব্যবসায়ী দাবি করেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা মাঝে মধ্যেই নকল পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন দেখতে পান। এসব অপরাধ একদিকে ব্যবসার ক্ষতি করে অন্যদিকে স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। কর্তৃপক্ষকে এই দিকে নজর দিতে হবে।

ইউনিলিভারের সিইও কেএসএম মিনহাজ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিনিধি মোস্তফা কামাল ভূঁইয়া, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সিইও পারভেজ সাইফুল ইসলামসহ আরও কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।

আমারসংবাদ/জেআই