ঢাকা
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,
নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ৪, ২০২১, ০৮:০৫ এএম
এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনায় কখনই আর পদোন্নতি পাবেন না জামালপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীর।
বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) আহমেদ কবীরকে শাস্তি দিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুণ বলেন, জামালপুরের ঘটনায় আহমেদ কবীরকে শাস্তি হিসেবে নিম্ন পদে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার কখনো পদোন্নতি হবে না। তিনি উপসচিবই থাকবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি ৪(৩)(ক) মোতাবেক গুরুদণ্ড হিসেবে ০৩(তিন) বছরের জন্য নিন্মবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ করা হলো। আহমেদ কবীর উপসচিব হিসেবে বর্তমানে ৫ম গ্রেডে বেতন পান। শাস্তির কারণে এখন থেকে তিনি ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ৬ষ্ঠ গ্রেডের সর্বনিম্ন ধাপের বেতন পাবেন। অর্থাৎ একজন সিনিয়র সহকারী সচিব পদোন্নতি পাওয়ার পর যে বেতন পান আহমেদ কবীর এখন সেটা পাবেন। পঞ্চম গ্রেডে তিনি মূল বেতন প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এখন থেকে তিনি মূল বেতন পাবেন ৩৫ হাজার টাকা। সঙ্গে এই গ্রেডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ অন্যান্য ভাতা-সুবিধা পাবেন।
২০১৯ সালের ২২ আগস্ট জামালপুরের তৎকালীন ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে অফিস সহায়কের ঘনিষ্ঠতার ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ২৫ আগস্ট ডিসিকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চার মিনিট ৫৮ সেকেন্ড ও ২৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের দুটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যাতে জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবীরকে এক নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। ভিডিও প্রকাশের পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। তবে জেলা প্রশাসক ঘটনাটি অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তখন।
খন্দকার সোহেল আহমেদ নামের ফেসবুক আইডি থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিও পোস্ট করা হয়। তবে এরপরই সেগুলো ভাইরাল হয়।
আমারসংবাদ/জেআই
