নিজস্ব প্রতিনিধি
এপ্রিল ২৭, ২০২১, ১২:০৫ পিএম
জরুরি প্রয়োজনে করোনাভাইরাসের টিকা পেতে চীনের উদ্যোগে গঠিত ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি ফর কোভিড ফর সাউথ এশিয়া’ প্ল্যাটফর্মে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ।
ছয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ তথ্য জানান। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই নেতৃত্বে ভার্চুয়াল এই আলোচনা সভা শুরু হয় দুপুর দুইটায় এবং শেষ হয় বিকেল চারটায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকে টিকা নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের স্টেটমেন্টে বলেছি, যেখান থেকে পাই আমরা ভ্যাকসিন নিয়ে আসব। মানুষের মঙ্গলের জন্যে যা যা প্রয়োজন সব বহুজাতিক উদ্যোগের সঙ্গে থাকবে বাংলাদেশ।’
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার প্রাপ্যতা ও চলমান সংকট মোকাবেলায় চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৬ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই জরুরি বৈঠকে যোগ দেন।
কোভিড সংশ্লিষ্ট ও কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমূদ্রের নিকটবর্তী হওয়ার বাংলাদেশে স্টোরেজ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে আলোচনায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, প্রস্তাব থাকলেও স্থান নির্বাচন হয়নি। স্টোরেজ ম্যানেজমেন্টের বিশদ পরিকল্পনাও এখনও তৈরি হয়নি।
মোমেন বলেন, চীনের অভিজ্ঞতার আলোকে পোস্ট কোভিড দারিদ্র্য দূরীকরণ সেন্টার গঠন হবে। গ্রামীণ জনপদে ব্যবসা বাড়াতে ই কমার্স স্প্রেড করানোর প্রোগ্রাম করা হবে। যেন গ্রামের লোকের ব্যবসাও ভালো থাকে।
এই আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুও তোলা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, অং সান সু চি পরবর্তী মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরাতে ‘ত্রি পক্ষীয় ব্যবস্থাপনায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের আয়োজন’ সম্প্রতিক বন্ধ হওয়ায় চীনের আবারও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
আমারসংবাদ/আরএস